দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পিছনে বিরাট আশঙ্কার কথা শোনালেন আইএসএফ সুপ্রিমো নওশাদ সিদ্দিকী। বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হতো বলে অভিযোগ ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়কের। এই কাণ্ডে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশের একাংশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আইএসএফ নেতা।
Advertisment
এগরার পর এবার দত্তপুকুর। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নারায়ণপুর। ভয়াবহ বিস্ফোরণে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আস্ত দোতলা বাড়ি। ওই বাড়িতেই চলছিল বেআইনি বাজি তৈরির কাজ। বিস্ফোরণের ভয়াবহ তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে পড়ে। মারাত্মক এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দত্তপুকুরের এই ঘটনা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর কথায়, 'তৃণমূল নেতার বাড়িতে এই কাজ চলছিল। বাজি কারখানার আড়ালে জানি না কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড হচ্ছিল। মুর্শিদাবাদের লোক এনে কারখানায় কাজ করাত। আশেপাশের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওখানে আমাদের বুথ সভাপতির মাও মারা গিয়েছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় তৃণমূল নেতা এর সঙ্গে যুক্ত। সে পলাতক। মালিককে কুঁজে বের করলে সত্য বেরোবে। কারামত আলি, আজিবর আলির খোঁজ করা হোক। একাধিক মহিলা মারা গিয়েছেন। তৃণমূলের নেতাদের কাজ গরিবদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো। অঘটন ঘটে গেলে বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। মুর্শিদাবাদ থেকে লোক এনে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি করত। ওই পঞ্চায়েতের আসনটিতে আমরা ভোটে জিতেছি। পুলিশের তোলাবাজি ও তৃণমূল নেতাদের মদতে চলত।'