Extra Marital Affair:পুলিশ কর্মী স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিল স্ত্রী। প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে মারধোর, এমনকী পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে।
অবশেষে ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে গিয়ে স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কে কূকীর্তির পদা ফাঁস করলেন খোদ স্ত্রী। অর্ধনগ্ন অবস্থায় আটক পুলিশকর্মী স্বামীকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার নিমাসরাই এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , গত সাত মাস আগে ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মী বিক্রম রজকের সাথে বিয়ে হয়েছিল করমনি এলাকার বাসিন্দা নিকিতা রজকের। বিয়ের পরই পুলিশকর্মী স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তার স্ত্রী। আর এই নিয়েই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো।
স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মিলত মার। এমনকি তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। অবশেষে এদিন নিমাইসরা এলাকায় পুলিশকে সাথে নিয়ে গিয়ে তার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের পর্দা ফাঁস করেন স্ত্রী। আর এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকা জুড়ে হইচই পড়ে যায়। গৃহবধূ নিকিতা রজকের অভিযোগ, বিয়ের এক মাসের পর থেকেই স্বামীর এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পারি। বর্তমানে আমার স্বামী রায়গঞ্জ থানায় একজন পুলিশ কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগেও স্বামীর পরকীয়া নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন আমাকে মারধর করে পুড়িয়ে খুন করার চেষ্টা চালানো হয়। তবুও এই পরকীয়া সম্পর্ক আটকাতে পারে নি। এরপরে জানতে পারি আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিমাসরাই এলাকায় নুপুর মণ্ডল নামে এক মহিলার সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এদিন স্বামী যখন ওদের বাড়িতে ছিল, সেই সময় ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ওই বাড়িতে যাই। এরপর হাতে নাতে স্বামীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই মহিলার সঙ্গে ধরে ফেলি। তখন আমার সঙ্গে ইংলিশ বাজার থানার পুলিশও ছিল। এরপর আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী আর ওই মহিলাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমাসরাই এলাকার তৃণমূল দলের সদস্য ধরমবীর পাশোয়ান। তিনি বলেন, ওই পুলিশ কর্মীর যে মহিলার সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সেই বাড়িতে প্রতিনিয়ত মধুচক্রের আসর বসে। আমরা চাই এই সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ হোক আমাদের এলাকায়। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।