হাঁসখালির নাবালিকাকে শ্মশানে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া পুড়িয়ে দেওয়া হয়নি তো? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দেওয়া অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে এই তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলার মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করে না বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে, রাজ্যবাসী ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে।
গত শুক্রবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে মৃত নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাঙ্ক ফাইন্ডিং কমিটির চার সদস্যা। কমিটিতে ছিলেন ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন এবং বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর।
গেরুয়া কমিটির সদস্যারা হাঁসখালির নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। বাড়ির কাছে শ্মশানও ঘুরে দেখেছিলেন তাঁরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেই রাতের বিবরণ দিয়েছিলেন মৃতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।
যার ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান রিপোর্ট বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে জমা করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এই কমিটির সদস্যা ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করেছিষ বিস্তারিক দিন কয়েক পরে দেব। একটি নাবালিকার উপর অত্যাচারের প্রমাণ ও নথি যেভাবে নষ্ঠ করা হয়েছে তা ভয়ঙ্কর। সবকিছুই হয়েছে খুব পরিকল্পিতভাবে। আমাদের বড় প্রশ্ন হল যে, ওই নাবালিকাকে ত্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়নি তো? আমরা চাই সিবিআই তদন্তে সব সত্য প্রকাশ পাক।'
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড রক্তক্ষণে নাবালিকা কাতরাচ্ছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এরপরই অভইযুক্তদের শাসানিতে ভয় পেয়ে কাউকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন মৃতের বাবা-মা। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে থেকেই দেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিৎ করতে কোনও চিকিথসকের শংসাপত্র ছিল না। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, চিকিৎসকের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই মৃতদেহটির সৎকার কীভাব সম্ভব হল? গতকাল, মঙ্গলবার দুপুরে সিবিআইয়ের চার জনের একটি দল মৃতার গ্রামে যায়। দলের দু’জন যান শ্মশানে। সেই শ্মশানে থাকা বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা।