গ্রিন করিডোর তৈরি করেও কোনো লাভ হলো না। সেই কলকাতার ট্রাফিক জ্যামেই পড়তে হলো অ্যাম্বুলেন্সকে। যানজট ছাড়িয়ে অ্যামবুলেন্স নিয়ে যেতে সময় লেগে গেল অতিরিক্ত প্রায় পাঁচ মিনিট।
নিউটাউনের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সমরজিৎ দাস বন্ধুদের সঙ্গে মানস সরোবরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ব্রেন স্ট্রোক হয়ে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। এরপর তাঁকে স্থানীয় নেপালগঞ্জের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর সমরজিৎকে কলকাতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত লখনউ বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দমদম বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখান থেকেই গ্রিন করিডোর করে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু বিধি বাম, পাওয়া গেল না গ্রিন করিডোরের অবাধ গতি।
রাজ্যে এদিনই প্রথম কোনও মুমূর্ষু রোগীর জন্য তৈরি হয়েছিল গ্রিন করিডোর। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মল্লিকবাজারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স।
আরও পড়ুন: দু’দিনে কলকাতায় পাকড়াও ২৫০০ বাইক, কেন?
জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দর থেকে ১১টার সময় অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় হাসপাতালের উদ্দেশে। লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙ্গার হাডকো মোড়ে পৌঁছানোর জন্য উড়ালপুল ব্যবহারের কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সের চালক তপু দাস বলেন, উড়ালপুলে 'হাইট বার'-এর জন্য আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স। তখন পথ বদল করতে হয়। আগাম ব্যবস্থা না থাকার কারণে উল্টোডাঙা মোড়ে যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। এরপর পুলিশি তৎপরতায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়, তবে গ্রিন করিডোরের সুবিধা মেলে নি।
কেন গ্রিন করিডোরের পথ ঠিক করার আগে দেখে নেওয়া হয়নি রাস্তার অবস্থা? পুলিশ কেন জানত না লেকটাউন ও উল্টোডাঙ্গার সংযোগ উড়ালপুলে হাইট বার রয়েছে, উঠছে প্রশ্ন।