Advertisment

Fake Note Recovery: পকেটে থাকা ২০০-৫০০ টাকার নোটগুলি জল নয়তো? জালিয়াতির বিরাট পর্দা ফাঁস মালদায়

Fake Note Recovery: ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯ লক্ষ টাকার ৫০০ টাকার জালনোট এবং ১ লক্ষ টাকা ২০০ টাকার জালনোট। এই জালনোটগুলি সীমান্তের ওপার থেকে সংগ্রহ করে থাকতে পারে অভিযুক্ত পাচারকারী বলেও ধারণা পুলিশের।

author-image
Madhumita Dey
New Update
Fake Note Recovery at maldah

উদ্ধার লাখ লাখ টাকার জাল নোট

Fake Note Recovery: গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকার জাল নোটসহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করলো বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কুম্ভীরা এলাকায় অভিযান চালায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমাণ জালনোটসহ ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

Advertisment

ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯ লক্ষ টাকার ৫০০ টাকার জালনোট এবং ১ লক্ষ টাকা ২০০ টাকার জালনোট। এই জালনোটগুলি সীমান্তের ওপার থেকে সংগ্রহ করে থাকতে পারে অভিযুক্ত পাচারকারী বলেও ধারণা পুলিশের। বুধবার ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য মালদা আদালতে পেশ করে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রুবেল শেখ। তার বাড়ি কুম্ভীরা এলাকায়। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বৈষ্ণবনগরে থানার বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুরে বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে ফেন্সিং নিয়ে যে গোলমাল বেঁধেছিল, তার ঠিক পাঁচ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই কুম্ভীরা গ্রামটি। ওই গ্রামের বাড়ি থেকেই রুবেল শেখকে থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত পাচারকারী তার বাড়িতেই ২০ লক্ষ টাকার জালনোট মজুত করে রেখেছিল। সেগুলি হয়তো ভিন রাজ্যে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল ধৃত রুবেল শেখের। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়েই বাড়ি থেকে জালনোট সহ হাতেনাতে ওই পাচারকারীকে ধরে ফেলে।

পুলিশ জানিয়েছে , বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ জালনোট বৈষ্ণবনগরের উদ্ধার হয় নি । ৫০০ এবং ২০০ টাকার জালনোটগুলি অত্যন্ত উন্নতমানের বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তবে সেগুলো যে সীমান্তের ওপার থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকতে পারে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। 

Advertisment

বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে মূল চক্রী হিসাবে রুবেল শেখ কাজ করছিল। কুরিয়ারের মাধ্যমেই হয়তো খুচরো খুচরো করে জালনোটগুলি বাইরে কোথাও পাচার করা হতো। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে পুলিশ। এই জালনোটগুলি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং কোথায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল সে ব্যাপারেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Maldah
Advertisment