মঙ্গলবার সকালে হুগলির পোলবায় মদের কারখানায় আয়কর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেদিনই রাতে ফের আয়কর অভিযান হয় শ্রীরামপুরে। তবে, ভুয়ো।
এ যেন অক্ষয় কুমারের স্পেশাল ২৬ সিনেমা। রিলের মত রিয়ালেও আয়কর আধিকারিকদের পরিচয়ে সোনা গালানোর দোকানে লুট চলে! শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি সোনা গলানোর দোকানে নকল আয়কর অভিযান চালায় কয়েকজন। ঠিক যেমন বলিউড ছবি স্পেশাল ২৬ এ অক্ষয় কুমার অনুপম খেররা করেছিলেন।
গতকাল রাত আটটা নাগাদ হঠাৎ শুট বুট পরে চারজন কুমিরজলা রোডের সোনা গালানোর দোকানে হাজির হয়। প্রত্যেকের গলায় আইটি অফিসারের আই কার্ড ঝোলানো ছিল। তারা নিজেদের ইনকাম ট্যাক্স অফিসার পরিচয় দিয়ে তল্লাসি শুরু করে। ওই দোকান মালিক মহারাষ্ট্রের যুবক অজয়। এ ধরণের আরও কয়েকটি দোকান রয়েছে কুমির জলা রোডে। যারা মূলত সোনা গালাই এর কাজ করে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সোনার বাট দিয়ে যায় গলানোর জন্য। এই সোনার বাট হস্তান্তরের কোনও কাগজপত্র থাকে না। মূলত বিশ্বাসের উপর ভর করেই দিনের পর দিন ধরে ব্যবসা চলে আসছে। সেই সুযোগেই কর্ণধার অজয়কে ভয় দেখিয়ে দোকার থেকে নগদ ও সোনা নিয়ে চম্পট দেয় নকল আই টি অফিসাররা।
তবে সন্দেহ মেটাতে যাওয়ার সময় দোকানের মালিক অজয়কেও গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওই চারজন। তারপর গাড়ি এগোতেই দিল্লি রোডের কাছে নামিয়ে দেওয়া হয় অজয়কে। চড়া সুরে বলা হয় আয়কর অফিসে যোগাযোগ করতে।
গোটাটাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশকে জানায়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আয়কর অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যাক্তিরা আসলে কারা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি থেকে পাওয়া ফুটেজে নকল রেডের ছবি ধরা পরেছে। ঘটনায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন,সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এই লুঠে তিনজন ছিল। সন্দেহ এই গ্যাং আগেও এই ধরণের অপরাধ করেছে।