দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের রাস্তার হাল বেহাল। ভোট আসলেই গ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে রাস্তার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়। তারপরে আর কোনও কাজ হয় না। এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার গ্রামে নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। রীতিমতো গ্রামের রাস্তার মোড়ে পোস্টার দিয়ে নেতাদের প্রবেশ নিষেধের কথা তাঁরা জানিয়ে দিলেন। আর এতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদাজুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হযরত নগর এবং আজিমপুর এলাকায়।
Advertisment
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হযরত নগর ও আজিমপুর এবং মিরাদল-সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষকে বেহাল রাস্তার কারণে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা এনিয়ে বারবার বিভিন্ন মহলে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে তাই তাঁরা এই পোস্টার দিয়েছেন বলেই গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার ভোট আসলে বেহাল রাস্তা সংস্কার অথবা নতুন করে রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু, ভোট পেরিয়ে গেলে আর কিছুই হয় না। তাই এবার ভোটের ব্যাপারে গ্রামের কোনও নেতার ভাষণ শুনতে নারাজ বাসিন্দারা। তাঁদের সোজা কথা, আগে রাস্তা তারপরে ভোট। এজন্যই এমন পোস্টার দিয়ে নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এমন পোস্টার দেওয়া আগেই উচিত ছিল। তাই, এরপর গ্রামে শাসক দলের নেতারা গেলে, তাঁদের জনগণ তাড়া করবে। এমনটাই দাবি বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি প্রশাসন দেখবে। দলীয়ভাবে দেখে রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে। তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানিয়েছেন, কারা কী ধরনের পোস্টার দিয়েছে, বলতে পারব না। তবে, গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত এলাকাতেই রাস্তার উন্নয়নের কাজ চলছে। তাই এই জাতীয় কোনও অভিযোগ তোলা অর্থহীন।