YouTube: এমন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) এমন ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার আলোচনা। প্রযুক্তির এই উপর্যুপরি ব্যাবহারের পজিটিভ দিকও যে বহু আছে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা বলতে শুরু করেছেন অতি বড় 'নিন্দুকেরাও'।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক মহিলা। You Tube-এ ওই মহিলার বক্তব্য-সহ ভিডিও দেখে হাসপাতালের হদিশ পায় মহিলার পরিবার। তারপর তাঁরা চলে আসেন হাসপাতালে। রবিবার সম্পূর্ণ সুস্থ করে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিল হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)।
এদিন, বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স করে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। ১ মাস পর বাড়ি ফিরতে পেরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ওই মহিলা। নতুন জীবন পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
হাসপাতাল সুত্রে খবর, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন। তখন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। মহিলার বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘা দগদগ করছিল। এই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসকরা দেরি না করে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর সুপারের পরামর্শে শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। বিশেষ টিম গঠন করে চিকিৎসার নজরদারি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই মহিলা।
এদিন তাঁর ভাই মাইকেল মুর্মু বলেন, "দিদিকে এভাবে ফিরে পাব ভাবিনি। হাসপাতালের কেউ You Tube-এ দিদির বক্তব্য-সহ অবস্থার কথা পোস্ট করে। সেই ভিডিও আমরা দেখে জানতে পারি দিদি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এমনকী তাতে হাসপাতালের ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। তারপরেই আমরা হাসপাতালে যোগাযোগ করে চলে আসি।" তিনি আরও বলেন, "দিদি কাজের জন্য প্রায় কলকাতায় আসত। সেইভাবেই ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এসেছিল। তারপর থেকে দিদির খোঁজ করে কোনও হদিশ পায়নি।"