বলবিন্দরকে দেখতে হাওড়া থানায় হাজির স্ত্রী ও ছেলে, মুক্তির দাবিতে অনড় শিখরা

এদিন সাংবাদিকদের কাছে বলবিন্দরের অস্ত্রের লাইসেন্সের সর্বভারতীয় বৈধতা আছে বলে জানিয়ে তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করেন মনজিন্দর সিং সিরসা।

এদিন সাংবাদিকদের কাছে বলবিন্দরের অস্ত্রের লাইসেন্সের সর্বভারতীয় বৈধতা আছে বলে জানিয়ে তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করেন মনজিন্দর সিং সিরসা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত যুবক বলবিন্দর সিংয়ের মুক্তি চেয়ে বুধবার হাওড়া থানায় আসেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দিল্লি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিংহ সিরসা ও অন্যান্য শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন। থানায় বলবিন্দরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী করমজিৎ কৌর ও ছেলে হর্ষবীরের দেখা করার বন্দোবস্ত করে পুলিশ। প্রায় আধঘন্টা কথা বলেন তাঁরা। থানা থেকে বেরিয়ে আসার পর বলবিন্দর সিংহের স্ত্রী ও ছেলে সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে চাননি।

Advertisment

এদিন সাংবাদিকদের কাছে বলবিন্দরের অস্ত্রের লাইসেন্সের সর্বভারতীয় বৈধতা আছে বলে জানিয়ে তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করেন মনজিন্দর সিং সিরসা। তিনি বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর এক র্কমী ছিলেন বলবিন্দর। তাঁর যথেষ্ট সম্মান আছে। সেটা রক্ষা করা প্রয়োজন।’’ আগামী ১৯শে অক্টোবর বলবিন্দর, প্রিয়াংশু-সহ তিনজনকে আবার আদালতে পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত, পাগড়ি বিতর্কে বাংলার শিখ সমাজ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অযথা রাজনীতি করার জন্য সিরসাকে তুলোধোনা করেছে। গুরুদ্বারা বরা শিখ সংগত সিরসাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, বাংলায় শিখ-বাঙালি সৌভ্রাতৃত্ব দীর্ঘদিনের। সেটা যেন নষ্ট করার চেষ্টা না করা হয়।

আরও পড়ুন বলবিন্দর সিংয়ের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত, পাগড়ি বিতর্কের উত্তাপ বাড়ছে

অন্যদিকে, বলবিন্দরের পাগড়ি বিতর্কে লাগাতার বিজেপির আক্রমণের জবাব দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরও। তারা টুইট করে জানিয়েছে, “বহু শিখ ভাই-বোন এ রাজ্যে থাকেন। অনেক শান্তিতে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। তাঁদের ভাবাবেগকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অযথা রাজনীতি হচ্ছে। যেখানে একজন বেআইনি অস্ত্রধারীকে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ঘটনাকে অন্য মোড়ক দিয়ে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে। ধর্মীয় ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সেটা করছে। বাংলা বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিখ পন্থদের যথেষ্ট সম্মান করে।”

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp Nabanna