Pak choi Farming: মালদায় কোরিয়ান প্রজাতির পালং শাক চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন মালদার (Malda) কৃষক মনোতোষ রাজবংশী। এই কোরিয়ান প্রজাতির পালং শাককে বলা হয় পাক চই শাক। পরীক্ষামূলকভাবে পুরাতন মালদা ব্লকের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী ভিন রাজ্য থেকে এই পাকচই শাকের বীজ নিয়ে এসে চাষ শুরু করেছিলেন। আর তারপরেই সাফল্য মিলেছে। চলতি বছর মনোতোষবাবু বাণিজ্যিকভাবে তার জমিতে কোরিয়ান প্রজাতির এই পাকচই শাকের চাষ (Farming) শুরু করেছেন।
জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকচই শাক মূলত শীতকালীন সবজি (Vegetables)। দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। পাকচই মূলত কোরিয়া (Korea) এবং চিনের (China) সবজি। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মতো। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালংশাকেরই মতো। স্থানীয় পালংশাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল বিদেশি এই পাক চই শাকের।
পাক চই।
বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই সবজির চাষ হচ্ছে। এমনকী অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্তোরাঁগুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে শহর হেক কিংবা মফস্বল, রেস্তোরাঁগুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। পিৎজা (Pizza), বার্গারের (Burger) মতো খাবারে ব্যবহার করা হয় পাকচই (Pak choi)।
আরও পড়ুন- WB Topper: গগনচুম্বী সাফল্যের শিখরে বঙ্গতনয়! শ্রেষ্ঠত্বের স্বপ্নসেরা বিজয়ে গর্বে বুক চওড়া বাংলার!
মালদা শহরের আনাচে-কানাচে একাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলিতে বিদেশি খাবারের চাহিদাও ভালোমতো রয়েছে। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদায়। এই বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী প্রথম পাক চই চাষ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন- Digha: বেড়ানোর দুরন্ত অভিজ্ঞতা হবে দিঘায়! পর্যটকদের জন্যই অভূতপূর্ব এই উদ্যোগ
তিনি বলেন , প্রথম বছর থেকেই ব্যাপক বিক্রি করছি এই শাক। বর্তমানে পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই শাক। মানুষের মধ্যে প্রচলন রয়েছে খাবার তাই অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ নতুন এই খাবার টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদায়।