রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে বামেদের অবরোধ। ছবি শশী ঘোষ
সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলছে ভারত বনধ। কেন্দ্রের তিন নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ডাকে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে বামেরাও। নৈতিকভাবে এই আন্দলনের পাশে রয়েছে তৃণমূলও। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের প্রতিবাদে স্তব্ধ যানচলাচল, বন্ধ দোকানপাট, ব্যহত সরকারি দফতরের কাজকর্ম। বাংলাতেও কৃষকদের বনধের প্রভাব পড়েছে। যাদবপুর, পাণ্ডয়া, শ্যামনগরে রেল অবরোধ হয়। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বোলপুর সহ নান জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেছে বাম কর্মীরা।
Advertisment
বামেদের রেল অবরোধ
একদিকে ট্রেন, রাস্তা অবরোধ, অন্যদিকে পতাকা হাতে রাস্তায় দেখা যায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল। ফলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন পথে নেমে সমস্যা পড়তে হচ্ছে মানুষদের।
অরোধে আটকে ট্রেন, তরম হয়রানি নিত্য যাত্রীদের
Advertisment
কলকাতাতেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লাল ঝান্ডা নিয়ে বাম কর্মীদের মিছিল হয়। পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় তৎপর কলকাতা পুলিশ। অবরোধ হলে তা তুলথে শহরজুড়ে ৬০টি পুলিশ পিকেট বসিয়েছে লালবাজার। চলছে পুলিশি টহল। জোর করে বনধ করলেই আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
রাস্তা আটকে বিক্ষোভ লালা ঝান্ডাধারীদের
বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে। উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশেও ভারত বনধ চলছে। বন্ধ দিল্লির হরিয়ানা, পাঞ্জাব সীমানা। দেশের নানা অংশে রেলের ট্র্যাকে বসে চলছে অবরোধ। বন্ধ দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়ক। বনধসমর্থনকারীদের ঠেকাতে হরিয়ানান নানাপ্রান্তে ব়্যাফ, আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
অবরোধকারীদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, 'কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ১০ মাস ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, প্রয়োজনে ১০ বছর ধরে এই কর্মসূচি চলবে। কোনও মতেই এই কালা আইন মেনে নেব না।'