মেদযুক্ত গোলগাল পুলিশ। দেখেই 'চক্ষু চড়ক গাছ' খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। উর্দিধারীদের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়ে যোগ ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই রোজ সকালে শরীরচর্চায় ব্যস্ত থাকছেন গাজোল থানার পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আপাতত এই চর্চা চলবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
গত সপ্তাহেই মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই পুরাতন মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ। হীরকবাবুকে দেখেই রেগে আগুন মুখ্যমন্ত্রী। হঠাৎ কী হল? স্থূল চেহারার পুলিশ আধিকারির কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান তিনি শরীরচর্চা করেন কিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নে স্বভাবিকভাবেই বিব্রত হন হীরক বিশ্বাস। পরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শের সুরে বলেছিলেন যে, 'ব্যায়াম করুন । কাজের ফাঁকে নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত। তাতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।'
মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরেছেন, কিন্তু তাঁর পরামর্শ ভোলেননি জেলার পুলিশ কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই গাজোল থানা এলাকার মাঠে রোজ সকালে নিয়মিত চলছে পুলিশ কর্মীদের শরীর চর্চার আসর। আইসি রণবীর বাগের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা যোগ ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করছেন। মালদার বিভিন্ন থানাতেই এই আসর বসছে বলে খবর।
গাজোল থানার আইসি রণবীর বাগ জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সংশ্লিষ্ট থানার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শরীরচর্চার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এতে থানায় আগ্রহী পুলিশকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মন এবং শরীর দু'টোই ভালো থাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন