স্ত্রীর মর্যাদা দাবি জানিয়ে শিক্ষক প্রেমিকের বিরুদ্ধে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো প্রেমিকা সিভিক ভলেন্টিয়ার। সোমবার সকালের মালদহের গাজোল থানার হরিদাস গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধর্নার খবর পেয়েই তদন্তে আসে গাজোল থানার পুলিশ। অনেক বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্নারত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছে। এরপর বিয়ের কথা বলতেই ওই শিক্ষক দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন শিক্ষক। অবশেষে বিয়ে করতে অস্বীকারই করেছেন ওই শিক্ষক। এরপরই স্ত্রীর মর্যাদার দাবি জানিয়েই সোমবার সকাল থেকেই প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেন অভিযোগকারিণী মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবার এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাজোল থানার পুলিশ।
পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট অভিযোগকারিণী মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন, প্রেমিক হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারকে উপযুক্ত শাস্তি না দিয়ে ধর্নায় বসা মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তুলে কেন থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সিভিক ভলেন্টিয়ারের কথা অনুসারে, দু'বছর আগে গাজোলের বাসিন্দা হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। এরপরে বন্ধুত্ব । আর তারপরেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত উৎপল সরকার বামনগোলা ব্লকের দহিল হাইস্কুলের শিক্ষক।
এব্যাপারে গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন