ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিংয়ের আইসি, এসডিপি ও বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। ওই দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল রাজ্য সরকার।
আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হবে।
মামলাকারী উপপ্রধান সিরাজুলের দাবি, গত ১১ জুন ২৭৪ জনকে নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝপথে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের ইন্ধনে কয়েকশো দুষ্কৃতী সুরাজুল ও নির্দল প্রার্থীদের ঘিরে ধরেন। মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেন। এই গন্ডগোলের মধ্যেই এসডিপিও দিবাকর দাস ও ক্যানিংয়ের আইসি দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই গুলি চালান।
এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের উপপ্রধান সিরাজুল। বিচারপতি মান্থার এজলাসে গোটা বিষয়টি উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালতে জানানো হয় যে, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদেরই মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। রাজ্যের অবশ্য পাল্টা দাবি ছিল যে, বেশিরভাগ অভিযোগই মিথ্যা।
বিচারপতি মান্থা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বিস্ফোরক ধারায় যে মামলা রুজু হয়েছে, তা কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানে? আইন মোতাবেক এটা জানানো উচিত। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি মান্থা বিধায়ক ও দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। এদিন বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার।