শহর কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ভস্মীভূত জুতোর কারখানা

কারখানায় আগুন নেভানোর যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না-বলেই অনুমান দমকলকর্মীদের।

কারখানায় আগুন নেভানোর যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না-বলেই অনুমান দমকলকর্মীদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tapsia Fire

রাত নামতেই শহর কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। ভস্মীভূত হয়ে গেল জুতোর কারখানা। আগুন নিয়ন্ত্রণে না-আসায় বাড়ানো হয়েছে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ তিলজলা থানার সাপগাছির ওই জুতো কারখানায় আগুন লাগে। কারখানার কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন লেগেছে দেখতে পাওয়ার পরই দমকলে খবর দেন। পাশাপাশি, তাঁরাও আগুন নেভানোর প্রাণপণে চেষ্টা চালান। কিন্তু, দাহ্য বস্তুতে ভরা ওই কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা স্থানীয় বাসিন্দা আর কারখানার কর্মীদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

Advertisment

তার মধ্যেই চলে, কারখানায় আগুনের গ্রাস থেকে বিভিন্ন সামগ্রী বের করে আনার চেষ্টা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকলের ইঞ্জিন আসতে দেরি করায় আগুন ছড়িয়েছে। কিন্তু, দমকল কর্মীদের দাবি, তাঁরা খবর পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এর মধ্যেই আগুন নেভানোর মত জলের অভাব দেখা দেয়। এলাকাটি যথেষ্ট ঘিঞ্জি। যার ফলে সংলগ্ন বাড়িগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই এলাকায় বেশ কিছু বহুতল রয়েছে। ওই বহুতলগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এরপর বাড়তে থাকে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুনের লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন দমকলকর্মীরা। যার ফলে আশপাশের বাড়িগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দূর করা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের গ্রাস থেকে মালপত্র উদ্ধারের সময় কারখানার ভিতরে তিন জন শ্রমিক আটকে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের কারখানার বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। কারখানার ভিতরে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা।

Advertisment

আরও পড়ুন- চা পানে এসে আস্ত কাপও চিবিয়ে খাচ্ছেন ক্রেতারা, গল্প নয় এ সত্যি!

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। দমকল কর্মীদের অভিযোগ, ওই জুতোর কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। তার ফলেই আগুন প্রাথমিক অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর পাশাপাশি, ঘিঞ্জি বসতি এলাকায় কীভাবে এই জুতোর কারখানা চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Factory Fire fire Fire Brigade