Fire in Jaldapara Forest Bungalow: মুহূর্তে শেষ ঐতিহ্য। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে অবস্থিত হলং বনবাংলো পুড়ে ছাই। মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বনবাংলোর ৮টি ঘর। দমকলের দুটি ইঞ্জিন অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বনবাংলো রক্ষা করা যায়নি। প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। বনবাংলোর জ্বলন্ত ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বহু পর্যটক, বনপ্রেমী মানুষ এই অগ্নিকাণ্ডকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন।
জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ শাখার ডিএফও পারভিন কাসওয়াঁ বলেন, রাত ৯টা নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরা জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বনবাংলোতে। সেই আগুন থেকে বনবাংলোর একটি এসি-তে বিস্ফোরণ হয়। বনকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বনবাংলো কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হাসিমারা এবং ফালাকাটায় দমকলে খবর দেওয়া হয়। জঙ্গলের ভিতরে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার কারণে ১০টা ১০ মিনিটে দমকলকর্মীরা পৌঁছন। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বনবাংলোকে রক্ষা করা যায়নি। এই সময় জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকায় বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন Kolkata Metro: মেট্রো যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন! পরিষেবা নিয়ে শীঘ্রই বিরাট কোনও পদক্ষেপ?
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে তৈরি এই ঐতিহাসিক বনবাংলোটি রাজ্য বনদফতরের অধীনে রয়েছে। এখানে বহু পর্যটক এসে থাকেন। এখান থেকেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারি শুরু হয়। জিপ সাফারির জন্যও এখানে আসতে হয় পর্যটকদের। জঙ্গলে ঘেরা বন দফতরের এই সুদৃশ্য বনবাংলোর পরিবেশ খুব মনোরম। রাজ্য তো বটেই, দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আসতেন এখানে। কয়েক বছর আগেই বাংলোটি সংস্কার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে জুন মাসেই এমন এক বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বক্সা টাইগার রিজার্ভের জয়ন্তী বনবাংলো।