বিধ্বংসী আগুনে ঝলসে মৃত্যু মা ও দুই ছেলের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। আগুনে পুড়ে গিয়েছে একতলা টালির চালের বাড়ির বেশিরভাগ অংশই। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মর্মান্তিক! মহেশতলার আক্রা কৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু মা-সহ দুই সন্তানের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১২টার পর হঠাৎই পোড়া গন্ধ পান এলাকাবাসী। কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় ওই বাড়ি থেকে। দ্রুত ওই বাড়িতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দাউদাউ করে ওই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলকর্মীরা আসার আগেই অবশ্য আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন বাসিন্দারা। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বাড়ির ভিতরে ঢুকতে সাহস করেননি তাঁরা। জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন স্থানীয়রা।
পরে দমকলকর্মীরা এসে পুরোদমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন। কিছুক্ষণের চেষ্টাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বাড়ির বেশিরভাগ অংশই। এরপরই বাড়ির ভিতর থেকে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর বন্তোবস্ত করে।
আরও পড়ুন- হল না শেষ রক্ষা, শেষমেশ পুলিশের জালে বেহালা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সোমনাথ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি গোপাল গায়েন নামে এক ব্যক্তির। টালির চালের ওই বাড়িটি তিনি ভাড়ায় দিয়েছিলেন পেশায় সবজি বিক্রেতা প্রভাস মণ্ডলকে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই টালির বাড়িতেই থাকতেন প্রভাস। তবে শনিবার রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ঘরে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। বিধ্বংসী আগনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রভাস মণ্ডলের স্ত্রী সোমা ও দুই সন্তানের।
তবে ঠিক কী কারণে ওই বাড়িতে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। অনেকের ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেও বাড়িতে আগুন লাগতে পারে। যদিও সব দিক খতিয়ে দেখছে দমকল ও পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মৃত মহিলার স্বামীকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।