পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের একের পর এক এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। নানুর, ভাঙড়, বারুইপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফি দিন আসছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর। গ্রেফতার হচ্ছে দুষ্কৃতী। যা ঘিরে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
রাজনৈতিক হিংসায় বরাবরই চর্চায় থেকেছে বীরভূম। এর আগেও বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর সামনে এসেছে। এবার সেই বীরভূমের নানুর থেকেই মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, বারুদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নানুর থেকে প্রচুর বেআইনি অস্ত্র এবং বারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপতার হয়েছে দুই দুষ্কৃতী। নানুরের পাকুড়হাঁস গ্রামে অস্ত্র মজুতের অভিযোগে প্রথমে ধরা পরে সফিক শেখ ওরফে মহম্মদ শেখ নামে এক দুষ্কৃতী।
ধৃত সফিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কাঠের বাঁট লাগানো একটি মাস্কেট, ম্যাগজিন-সহ একটি ৯ এমএম অটোমেটিক পিস্তল। এছাড়াও মিলেছে ম্যাগজিন-সহ দুটি ৭.৬৫ এমএম অটোমেটিক পিস্তল। পাঁচটি ৮ এমএম, দুটি ৯ এমএম এবং ছয়টি ৭.৬৫ এমএম কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশিতে মিলেছে মোট আট প্যাকেট বারুদ।
আরও পড়ুন- কাল শুভেন্দুর গড়ে অভিষেকের সভা, ‘উৎপাত ছাড়া ওদের কিছু করার নেই’, সোচ্চার দিলীপ
পরে ধৃতকে জেরা করে ওই একই গ্রাম থেকে সালাম শেখ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে বলেন, “আমরা কুখ্যাত অপরাধীদের উপর নজর রাখতে শুরু করেছি। সফিক শেখ সেরকমই একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বীরভূমের একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে সফিকের বাড়িতে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকার খবর পায় পুলিশ। সেই মতো খবর পেয়ে অভিনে গিয়ে সফিকের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরেই ওই বাড়িতে ঢুকে খাটের নিচে থাকা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার করা হয়। সফিককে গ্রেফতার করে পরে ওই গ্রাম থেকেই আলম শেখকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরায় পুলিশ জেনেছে, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বিহার থেকে আনা হয়েছিল। বিক্রির উদ্দেশ্যেই ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
শুধু নানুরই নয়। আগ্নেয়াস্ত্রের পাহাড় মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও। ভাঙড়ের নাটাপুকুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও বোমা বাঁধার সরঞ্জাম-সহ এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তি এলাকায় আইএসএফ কর্মী বলেই পরিচিত। যদিও ধৃতের দাবি তাকে ফাঁসাতেই স্থানীয় তৃণমূলের তরফে চক্রান্ত করা হয়েছে।