Firhad Hakim: চাকরি দুর্নীতি নিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনেই বোমা ফাটালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যে চাকরি দুর্নীতি যে হয়েছে তা স্বীকার করে নিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য। তাঁর কথায়, "স্বীকার করতে বাধা নেই, দলের একাংশ দুর্নীতি করেছে।" সোমবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যে নতুন করে জলঘোলা শুরু।
বোমা ফাটালেন ফিরহাদ। চাকরি দুর্নীতিতে তৃণমূলের একাংশ জড়িত বলে এই প্রথম সরাসরি মেনে নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা ফিরহাদ হাকিম। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। সেখানেই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে নয়া বিকর্তের জন্ম দিলেন ফিরহাদ।
কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
"স্বীকার করতে বাধা নেই যে দলের একাংশ দুর্নীতি করেছে। তৃণমূল একটা সংসার। কিছু মানুষ নিশ্চিতভাবে দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তা বলে আমরা সবাই নই। আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। চেতলার বুকে কোনও মানুষ বলতে পারেবন যে ফিরহাদ হাকিম দুর্নীতি করেছেন? কাউন্সিলর, প্রোমোটারদের কাছ থেকে হাত পেতে একটা পয়সা নিয়েছেন।" চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে ফিরহাদ আরও বলেন, "চাকরির জন্য টাকা দেওয়া আর মায়ের শরীর থেকে মাংস কেটে নেওয়া একই বিষয়।"
আরও পড়ুন- Kalpataru Utsav: আজকের দিনে কীভাবে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ? কারা ছিলেন সঙ্গে?
উল্লেখ্য গরু পাচার, কয়লা পাচার থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অন্য ক্ষেত্রে নিয়োগে বিস্তার দুর্নীতি হয়েছে এরাজ্যে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে নাম জড়ানোয় জেলে যেতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন- ‘আমার ধারণা উনি পিছবেন না’, বছরের শুরুতেই ‘নাছোড়’ অভিষেককে বার্তা মমতার ‘দূত’ সুব্রতর
জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে স্ব-কন্যা জেলে রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ অনুব্রত মণ্ডলও। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে দুর্নীতিতে। এই আবহে এবার দলের একাংশের দুর্নীতি মেনেই নিলেন ফিরহাদ হাকিম।