Advertisment

বাড়িতে ১০ ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশি, তদন্তকারীরা যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মেয়র ফিরহাদ

সাংবাদিক বৈঠকে তুলেছেন একের পর এক অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Firhad

সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম।

সিবিআই ১০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে তাঁর চেতলার বাড়ি ছাড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ডেকে তিনি অভিযোগ করেন, 'এভাবে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে। আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ ছিল। সেখানে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কেন এভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্তা করা হবে?' রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে আচমকা হানা দেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সেই তল্লাশি ১০ ঘণ্টা পর শেষ হয় সন্ধে সাড়ে ৬টায়। তদন্তকারীরা বাড়ি ছাড়তেই ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁদের ওপর, 'মানসিক নির্যাতন চলছে।' একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, শীঘ্রই তাঁর বাবা সাংবাদিক বৈঠক করবেন।

Advertisment

সেইমতো মিনিট ১৫ পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্ত্রী রুবি ও কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, 'দীর্ঘ বছর ধরে চেতলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে আসছেন। তাঁরা আমাকে কাউন্সিলর বানিয়েছেন। বিধায়ক বানিয়েছেন। আজ অবধি কেউ বলতে পারেনি যে আমি দুর্নীতি করেছি। তার পরও কেন আমাকে এই ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে? বিজেপিকে বলব, আমাকে জেলে রাখুন। কিন্তু, আমাকে এই ভাবে সম্মানহানি করবেন না। একটা অসভ্য, বর্বর দল। এদের কাছে মাথানত করব না।'

আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেকের নামে জয়ধ্বনি, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিজেপি ছেড়ে কি তৃণমূলে জনপ্রিয় অভিনেত্রী?

তাঁর বিরুদ্ধে নারদা মামলা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, 'ওই একটা মামলাতেই আমি অভিযুক্ত। জেলেও গেছি। কিন্তু, জেলে না-গিয়ে অসুস্থ বলে হাসপাতালে শুয়ে থাকিনি। কিন্তু, ওই একই মামলায় তো শুভেন্দু অধিকারীই অভিযুক্ত। কোথায়, ওকে তো ডাকা হল না? আমি ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর। কখনও দুর্নীতির সঙ্গে হাত মেলাইনি। বামফ্রন্ট আমলেও মার খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু, এভাবে আমাকে কখনও হেনস্তা করা হয়নি।'

Firhad Hakim Suvendu Adhikari KMC
Advertisment