'কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীতহারা…' কয়েক মাস আগেই কলকাতা পুরনিগমের 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। তারপর বিতর্ক দানা বাঁধে। দিন এগিয়েছে, এরপরও নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। শুক্রবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেও ফের মন্ত্রী ফিরহাদের মন্তব্যে আবারও হইহই কাণ্ড। এবার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন ববি।
বিগত অধিবেশনগুলিতে দেখা গিয়েছিল যে শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক বিধানসভায় হাজিরা দিচ্ছেন না। যা নজর এড়ায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর। সকলকে নিয়ম করে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শেষে অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রীদের হাজিরা খাতায় সই করতে হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তেই গোঁসা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের। মুখে না বললেও বিরক্ত অন্যান্য মন্ত্রীরাও।
শুক্রবার বিধানসভার হাজিরা খাতায় সই করেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পার্টি বলেছে, তাই করলাম (সই)। কিন্তু এটার সঙ্গে আমি সহমত নই। আমরা কি স্কুলে পড়ি নাকি!'
সংবাদ মাধ্যমে ফিরহাদ হাকিম যখন বিরক্তি প্রকাশ করছেন তখন তাঁর পাশে দাঁড়ানো রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে বলতে শোনা যায়, '১১ বছর ধরে বিধানসভায় রয়েছি। এক দিনও কামাই করিনি।'
আরও পড়ুন- ‘তাহলে ২১ জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেব’, চরম বার্তা হাইকোর্টের
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই মন্ত্রীদের হাজিরা দেখতে পাঁচ জনের একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করা হয়েছে বিধানসভায়। এই কমিটির চেয়ারম্যান পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বীরবাহা হাঁসদা। এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য হয়েও ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই গুঞ্জন চলছে।