অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু'টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি নগদ। সেই অর্থের সঙ্গে প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি গোয়েন্দারা। আপাতত ইডি হেফাজতে পার্থ। মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত তিনি। তৃণমূল ইতিমধ্যেই দলের সব পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছে। তবুও পার্থ-অস্বস্তি কাটছে না শাসক দলের। এরই মধ্যেই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখা সংক্রান্ত ২০১৭ সালের মামলা নিয়ে জোর শোরগোল পড়েছে। বিরোধী দলগুলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাম জুড়ছে মামলায় উল্লেখ নেতা, মন্ত্রীদের। যা নিয়েই বুধবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে সোচ্চার হলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকরা।
মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাফ বললেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনার পর সুযোগ বুঝে সবাই অপমান করছেন। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তৃণমূলের ১৯ জনের নাম। পার্থ যা করেছেন, তার জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত। আমি এই পার্থকে চিনতাম না। তবে তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের সবাই চোর। তৃণমূল করা মানেই চোর নয়। দল এরকম কাজকে সমর্থন করে না।' ফিরহাদের সাফ দাবি, 'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'মানুষের কাজ করার জন্য নিজেদের সুখ শান্তি রেখে এসে রাস্তায় নেমেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কখনও রাজনৈতি উদ্দেশ্যে, কখনও চক্রান্ত করে আমাদের অসম্মমানিত করা হচ্ছে।'
সম্প্রতি তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখা আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় পার্টি হিসেবে ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'রোজগার করা কোনও অন্যায় নয়। ববি হাকিম কোনওদিন কোনও টাকা নেয়নি। আসলে এই মামলা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নয়, এটা পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট লিটিগেশন।'