শীতলকুচি-কাণ্ডের বুথের ভিতরেও চলেছে গুলি। সিআইডি তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিআইডির এই দাবি খতিয়ে দেখতে ব্যালিস্টিক দল সেই বুথ পরিদর্শনে যাবে। খতিয়ে দেখবে ব্ল্যাকবোর্ডে লেগে থাকা গুলির চিহ্ন। ১০ এপ্রিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের ঘটনার পরেই প্রকৃত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটপর্ব চলাকালীন স্বজনহারা পরিবারগুলোর সঙ্গে গিয়ে দেখাও করেন তিনি।
ইতিমধ্যে সিআইডি ডিআইজির নেতৃত্বে একটি দল এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে। ভোটের সময় ওই বুথের দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের একপ্রস্থ জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় থানার আইসিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। সিআইডি জানতে চাইছে, সত্যি গ্রামবাসীদের প্ররোচনা ছিল কি? যদি তাই হয়, তাহলে জটলা হটাতে কী কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে বিকল্প ছিল না? স্থানীয় পুলিশকর্মী এবং রাজনৈতিক দল প্রত্যেকের কাছেই এই প্রশ্নগুলো ছুঁড়ছেন তদন্তকারীরা।
তবে, গুলি চালনার দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে দাবি ছিল, বুথের বাইরের জটলা সরাতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি। স্থানীয়রা ঘিরে ধরে বাহিনীকে। নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয় বাহিনীকে। এবার তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে এই দাবিও। যদি বুথের বাইরে সমস্যা হয়, তাহলে বুথের ভিতরে ব্ল্যাকবোর্ডে কীভাবে গুলির চিহ্ন? এভাবে ওঠা নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন বেশি ব্যস্ত সিআইডি। ইতিমধ্যে ঠিক হয়েছে, সোমবার শীতলকুচির শেই বুথে ব্যালেস্টিক দল যাচ্ছে। তারা সিআইডিকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে।
তবে এই তদন্ত নিয়ে জোর তরজা তৃণমূল-বিজেপির। প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তৃণমূলে সদ্য নিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘সরকার প্রকৃত ঘটনাই তুলে ধরতে চায়৷ যাঁরা নির্দোষ তাঁদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই৷’