হুগলীর গ্রামে বাঘের রোল, ফাঁদে পড়ল বাঘরোল

বেশ কিছু দিন ধরেই পোলবার জারুরা গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছিল গৃহস্থের হাঁস-মুরগি। অজানা এক প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেলেও দেখা মেলেনি সম্মুখে।

বেশ কিছু দিন ধরেই পোলবার জারুরা গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছিল গৃহস্থের হাঁস-মুরগি। অজানা এক প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেলেও দেখা মেলেনি সম্মুখে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bagroll in hooghly

খাঁচায় আটকানো হল এই প্রাণীটিকে। ছবি- উত্তম দত্ত

সম্প্রতি 'বাঘ আতঙ্কে' ঘুম ছুটেছিল হুগলির একাধিক জায়গার। তেমনই এক চিত্র দেখা গেল হুগলির জারুরা গ্রামে। বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়ল গোটা গ্রামের। বেশ কিছু দিন ধরেই পোলবার জারুরা গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছিল গৃহস্থের হাঁস-মুরগি। অজানা এক প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেলেও দেখা মেলেনি সম্মুখে। রাত হলেই গ্রামের মানুষ টের পেতেন বন্যপ্রাণীটির। যা আগে এ গ্রামে হয়নি, তেমন পরিস্থিতিতে জারুরা গ্রামে তৈরি হয় এক অজানা আতঙ্কের।

Advertisment

সেই আতঙ্কের নিরসন করতেই জারুরা গ্রামে খাঁচা বসায় গ্রামবাসীরা। আর সেখানেই ধরা পড়ে একটি বাঘরোল। এই ঘটনায় অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসীর। এদিকে খাঁচাবন্দি বাগরোল দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমান আশেপাশের এলাকার মানুষজন। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। প্রাণীটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তার জন্য খবর পেয়েই পোলবা থানার পুলিশ হাজির হয় গ্রামে। কয়েকদিন আগে রিষড়া বাগখাল এলাকাতে মৃত্যু হয় একটি বাঘরোলের। সেখান থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায় নানা বিভ্রান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে বনদফতরের আধিকারিকরা আসা না অবধি প্রহড়ায় থাকে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কোন্নগর থেকে বৈদ্যবাটি এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে বাঘের মতো একটি প্রাণীর দেখা যায়। যদিও পরবর্তীতে তা ভ্রম বলেই গণ্য হয়। বন্যপ্রাণ দফতর এসে জানতে পারে চেহারায় বাঘের মতো দেখতে হলেও বাঘ নয়, প্রাণীটি বাঘের স্বজাতি। যার পরিচিত নাম বাঘরোল। বন দফতর থেকে জানানো হয় হুগলির এই সব এলাকায় ফিসিং ক্যাট বা বাঘরোল থাকে। যারা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। তবে দিন দিন কমছে এই প্রাণীর সংখ্যা।

West Bengal