আগামী দু'দিন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে বাংলায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে নবান্ন। গান্ধীজয়ন্তী উপলক্ষে ছুটির দিন হলেও সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জরুরিভিত্তিতে ৭ জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া জেলা প্রশাসনকে।
এখনও পর্যন্ত মাইথন জলাধার থেকে ৬০০০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৭৩০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে এই জল ছাড়ার পরিমান আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই ডিভিসি সংলগ্ন জেলাগুলিতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিনের জরুরি বৈঠকে সেচ দফতরের আদিকারিকদের ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জল ছাড়ার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। ওই সাতজেলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে পাঁচ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। যার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
জল ছাড়ার ফলে যে অঞ্চলে জলমগ্ন বা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রয়োজনে সেইসব অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও সিভিল ডিফেন্সের টিম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন প্লাবিত অঞ্চলে সিভিল ডিফেন্সের দল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিভিসি কত পরিমান জল ছাড়ছে সেই জল ছাড়ার পরিমাণ প্রতিনিয়ত জেলাশাসকদের জানাতে হবে।
যে বাঁধগুলি ভাঙতে পারে জরুরি ভিত্তিতে সেইগুলোর মেরামতি করতে বলা হয়েছে। জেলা ও মহকুমা স্তরের কন্ট্রোল রুম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। কন্ট্রোল রুম সোমবার চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।