বস্তাবন্দি কৌট থেকে চব্বিশটি ভ্রূণ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাবড়া থানার অন্তর্ভূক্ত বটতলা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, এগুলি বেআইনি ভাবে গর্ভপাত করা ভ্রূণ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া, অশোকনগর সব সংলগ্ন অঞ্চলের বিভিন্ন নার্সিংহোমে বেআইনি গর্ভপাত চলে। সে রকম কোনও নার্সিংহোম থেকেই ভ্রূণগুলো ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশেরর থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় রক্তমাখা বস্তা দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় বস্তা খুলতেই কৌটর মধ্যে ভ্রূণগুলি নজরে আসে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে জড়ো হয়ে যানবহু মানুষ। খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানায়। পুলিশ এসে কৌটগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেগুলি বর্তমানে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হরিদেবপুরে পাওয়া গেছে ভ্রূণ নয়, বর্জ্য পদার্থ, নাটকের ইতি
হাবড়া পুলিশের তরফে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোন নার্সিং হোম এই কাজ করেছে তারও খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিশ। নার্সিংহোমের বর্জ্য কোথায় ফেলা হয়? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নার্সিং হোমগুলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাবড়া, অশোকনগর, গাইঘাটা ও বাদুড়িয়া এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত নার্সিং হোম গজিয়ে উঠেছে। ওইসব এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে বেআইনি গর্ভপাতের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, এই ধরনের কাজের সঙ্গে এনজিও, নার্সিং হোম, চিকিৎসকদের একাংশ সক্রিয়ভাবে জড়িত। ইতিমধ্যেই নজরদাকরি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
এর আগে ভ্রুণ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্যল্য ছড়ায় শহর কলকাতার হরিদেবপুরে। গত বছর সেপ্টেম্বরে একটি ফাঁকা জমিতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে উদ্ধার হয় ১৪ টি সন্দেহজনক প্লাস্টিক প্যাকেট, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সেগুলিতে ১৪টি ভ্রুণ ছিল। প্যাকেটগুলি খোলার পর কিছু ড্রাই আইস পাওয়া যায়। আর যা ছিল তা মনুষ্যদেহ নয় বলেই চিকিৎসকরা জানান।
Read the full story in English