শীতকালে অনেকেরই পা ঘামে। তারই জেরে বেরোয় দুর্গন্ধ। আট থেকে আশি, অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে ঘরোয়া নানা পদ্ধতির উপর নির্ভরও করেন অনেকে। কিন্তু তাতেও সবার সমস্যা মেটে না। এবার তাই পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানুন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সহজেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার পাঠকদের জন্য মূল্যবান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পিকে ঝা।
ছোট হোক বা বড়, শীতকালে অনেকের পা থেকেই দুর্গন্ধ বেরনোর প্রকট একটি সমস্যা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ের দুর্গন্ধের জন্য মূলত ব্যাকটেরিয়াই দায়ী। ত্বকের 'স্টেফাইলোকক্কাস' ঘামের সঙ্গে মিশে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে। সেই অ্যাসিডই পায়ের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এছাড়াও ত্বকের উপরে থাকা 'ব্যাসিলাস সাবটিলিস' প্রজাতির এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াও পোশাকের উপর ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পায়ের ক্ষেত্রে মোজার একটি গুরুত্ব রয়েছে। হাওয়া চালচল করতে পারে না এমন মোজা পরলে পায়ে দুর্গন্ধের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরের কোলে হারাবে মন! বেড়ানোর ১৬ আনা মজা পাবেন কলকাতার কাছেই এই সমুদ্রপাড়ে
তবে এর থেকে মুক্তিরও পথ আছে। বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পিকে ঝা বলেন, ''শীতকালে পায়ে ঘাম হয়। এই ঘামই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। পায়ে যাঁদের দুর্গন্ধ হয় তাঁরা দিনে কমপক্ষে একবার অল্প গরম জলে পা ধুয়ে নিন। পা ধুয়ে মুছে নেওয়ার পর পায়ে ডাস্টিং পাউডার দিন। তারপর সুতির মোজা পরে নিন। বাড়িতে থাকলে সুতির মোজা পরে হাওয়াই চটি বা পা খোলা থাকে এমন জুতো ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে গেলেও সুতির মোজা পরাই ভালো।''
অন্যদিকে, শীতকালে অনেকের পায়ের আঙুলের ডগা ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া বা ঘা হওয়ার মতো সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই আগুনের সেঁক দেন। তবে এক্ষেত্রে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন চিকিৎসক পিকে ঝা। শীতকালে অতি সংবেদনশীল ত্বক যাঁদের তাঁদেরই আঙুলের ডগা ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া বা ঘা হওয়ার সমস্যা থাকে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রেও যাঁদের এই সমস্যা তাঁরা সুতির মোজা পরতে পারেন বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট এই চিকিৎসক।