একুশে জুলাইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাৎসরিক সভাকে ঘিরে শুক্রবার ভিড় উপচে পড়ল শহর কলকাতায়। যার রেশ পড়ল শহর কলকাতার লাইফলাইন বলে পরিচিত মেট্রোতেও। রাস্তায় বাসের সংখ্যা অত্যন্ত কম ছিল। বেশিরভাগ বাসই ছিল বুক করা। তৃণমূল কর্মীরা যাঁরা সেই সব বুক করা বাসে আসেননি, তাঁদের অনেকে বেছে নিয়েছেন কলকাতা মেট্রোর নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রা। আর, তার ফলেই শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর উত্তর ও দক্ষিণ পথ বা নীল লাইন ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে উঠল।
তবে শুধু মেট্রোতেই নয়। শুক্রবার শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলোতেও ছিল তৃণমূল সমর্থকদের ভিড়। দলের ছাত্র ও যুব নেতাদের অনেকেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে লোকাল ট্রেনে চেপেই সভাস্থলে পৌঁছেছেন। তাঁদের জন্য স্টেশনের কাছ থেকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রেখেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে, সেসব ছাপিয়ে গেল কলকাতা মেট্রো রেলের নীল লাইনে ভিড়ের পরিসংখ্যান। এই ব্যাপারে কলকাতা মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এদিন দুপুর তিনটের মধ্যেই কলকাতা মেট্রোর নীল লাইনে যাত্রীর সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। দুপুর তিনটে পর্যন্ত সব মিলিয়ে কলকাত মেট্রোর ওই পথে সফর করেছেন ৩,০৪,৯২৮ জন যাত্রী। যা অন্যদিনের যাত্রীসংখ্যার তুলনায় ২৩,০০০ জন বেশি।
এমনিতে বছরের বিশেষ দিনগুলোয় কলকাতা মেট্রোয় ভালোই ভিড় হয়। বিশেষ করে পুজোর দিনগুলোয় ভিড় হয় বেশ বেশি। অথবা বড় কোনও ক্রিকেট ম্যাচ থাকলেও এমন ভিড় কলকাতা মেট্রোয় দেখতে পাওয়া যায়। তবে, রাজনৈতিক সভাকে ঘিরে এই ধরনের ভিড় সচরাচর কলকাতা মেট্রোয় দেখা যায় না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মীদের একসঙ্গে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন- একুশে জুলাইয়ের সভা সেরেই মঙ্গলাহাটে মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস
কিন্তু, এবারের একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে বহু সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিলেন। বিশেষ করে যাঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা, সেই সব লোকজন। মূলত, বিচ্ছিন্নভাবে সভায় আসা এই সব উপভোক্তারা কলকাতা মেট্রোর সফরকেই নিরাপদ বলে মনে করেছেন বলে, তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা।