নিয়মে কড়াকড়ির জেরে বহু মহিলাই 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারিলেন না। অসুবিধার কথা জানতে পেরেই নিয়মে বদল ঘটাল রাজ্য। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনের নিয়ম শিথিল করল নবান্ন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ, যেসব মহিলার কাছে আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, এখন থেকে তাঁরাও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ করার সুযোগ পাবেন। রাজ্যের সব জেলার জেলাশশাতকের কাছে এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
একুশের ভোটর আগে ‘কৃষকবন্ধু’ ও ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’-এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল যে, ভোটে তৃতীয়বার জিতেলে চালু হবে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প। যার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়ণ দৃঢ় হবে। 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন। এছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ওবিসি মহিলারা প্রতি মাসে হাজার টাকা করে পান।
কয়েক সপ্তাহ আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এবং ‘বিধবা ভাতা’র সুবিধা এবার একযোগে মিলবে। আগে, যেসব মহিলা মাসে ১০০০ টাকা করে বিধাবা ভাতা পেতেন তাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অর্থ পেতেন না। কিন্তু সেই নিয়মে বদল ঘটেছে। বর্তমানে বিধবা মহিলা একসঙ্গে ‘বিধবা ভাতা’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’রের টাকা পাবেন।