নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সেইমত বাংলার সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখতে ইতিমদ্যেই মক-ড্রিল হয়েছে। বিপত্তি রোধে বুধবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এই বৈঠকে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ে রাজ্যের তরফে জেলাগুলিকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তা দেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জনানো হয়েছে যে, সংক্রমণের ভয়াবহতার কোনও আশঙ্কা এখনই নেই।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের থেকে ১ লাখ কো-ভ্যাক্সিন,১০ লক্ষ কোভিশিল্ড এবং ৫ লক্ষ ন্যাজাল ভ্যাক্সিন চেয়েছে। জেলাগুলিতে টিকাকরণের হার কত? সতর্কতামূলক ডোজ বা বুস্টার ডোজ কতজন পেয়েছেন? ১৫-১৭ বছর বয়সিদের টিকাকরণের হার কেমন তা খতিয়ে দেখতে বলেছে নবান্ন।
নবান্নের নির্দেশ-
অতিমারি মোকাবিলায় জেলার হাসপাতালগুলিতে কোভিড ওয়ার্ড চালু করতে হবে ও কোভিড শয্যা চিহ্নিত করতে হবে। কোভিড চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভেন্টিলেটর। অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ যা পর্যাপ্ত সংখ্যায় মজুত রাখতে হবে বলে জেলাশাসকদের জানিয়েছে রাজ্য। রাখতে হবে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরও। এছাড়া পর্যাপ্ত আরটিপিসিআর কিট, কোভিড চিকাৎসার ওষুধ ও পিপিই যাতে সরকারি হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকে তাও দেখতে হবে।
করোনাকালের মত জেলার হাসপাতালগুলিতে ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফের চালু করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সরকারি পোর্টালে সব তথ্য আপলোড করতে হবে।
সংক্রমণ রোধে মরিয়া রাজ্য। গোটা রাজ্যে করোনার প্রথম পর্যায়ের জন্য ৩,৭০০টি শয্যা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই শয্যা সংখ্যা আরও ২ হাজার বাড়ানো হবে।