সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রকোপে ছারখার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। নেই বিদ্যুৎ-জলের ব্যবস্থা। গাছ পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে বহু এলাকায়। শহরের একাংশে বাড়ছে বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যেকে স্বাভাবিক করতে এবার সেনা সাহায্য চাইল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই শহরের রাজপথে নামল পাঁচ কোম্পানি সেনা।
শনিবার টুইটে স্বরাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে জানা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করার জন্য সেনা সমর্থন চাইছে বাংলা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রেল, বন্দর এবং বেসরকারী সংস্থাদেরও বলা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসতে।
স্বরাষ্ট্রদফতর সূত্রে এও বলা হয় যে ইতিমধ্যেই পানীয় জলের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জল সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিপর্যস্ত এলাকায়। যেখানে বিদ্যুৎয়ের প্রয়োজন সেখানে সরকারের তরফে ভাড়া করা হচ্ছে জেনারেটর। গাছ কাটার জন্য ইতিমধ্যেই বহু লোক নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসিএর তরফে তাঁদের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে। প্রসঙ্গত, রাজ্য করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ফলে এমনিতেই কর্মী সংকট ছিল সরকারি ক্ষেত্রে। এর মধ্যে আমফানের দাপটে সেই সমস্যাই প্রকট রূপে দেখা দিয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে স্বরাষ্ট্রদফতরের তরফে বলা হয়েছে যে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুলিশ বিভাগে।
আরও পড়ুন- আমফানের ধাক্কা সামলাতে পারবে কি ধুঁকতে থাকা বইপাড়া?
এদিকে, শুক্রবারই আকাশপথে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সুন্দরবন, গঙ্গাসাগর-সহ আমফান বিধ্বস্ত এলাকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন