বর্ধমানের পুরপ্রশাসক করা হল প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে। প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় এবার বর্ধমান পুরসভার দায়িত্বে পেশায় চিকিৎসক মমতাজ সঙ্ঘমিতা। আজ রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রতীকে লড়েছিলেন মমতাজ সঙ্ঘমিতা। ভোটে জিতে সাংসদ হন তিনি। তবে ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার কাছে হেরে যান মমতাজ সঙ্ঘমিতা। ভোটে হারলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সরে যাননি তিনি। বর্ধমানে দলের একাধিক কর্মসূচিতে নিয়মিত দেখা যেত বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে।
এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়। তবে দিন কয়েক আগেই একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআই গ্রেফতার করে প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে। গতকাল আদালত তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রণব চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারির পর পুরসভার কাজকর্ম কীভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলতে থাকে তৃণমূলে। শেষমেশ প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতাকেই পুর-প্রশাসক পদে বসানো হল। মমতাজ সঙ্ঘমিতার বাবা সৈয়দ আবুল মনসুর হাবিবুল্লাহ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাক্তন প্রোটেম স্পিকার। একসময় রাজ্যের আইনমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত থেকে পুরনিগমে, ৫ বছরেই আমূল সংস্কার, তবুও কলকাতার এই ওয়ার্ডে খামতি কোথায়?
এদিকে, বর্ধমান পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে এর আগেও স্থানীয় তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন ছিল স্পষ্ট। এমনকী পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে শহর বর্ধমানে পথে নেমে বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামীরা।
সেই ঘটনা নিয়েও বিড়ম্বনা বাড়ছিল শাসকদলে। এরপর প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতারির পর সেই ক্ষোভ চরমে ওঠে। সেই কারণেই এবার মমতাজ সঙ্ঘমিতার মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এক রাজনীতিবিদকে বর্ধমান পুরসভার দায়িত্বে এনে সেই ক্ষোভেই খানিকটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা হল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন