উপ নির্বাচনের আগে ধূপগুড়িতে বিরাট ধাক্কা তৃণমূলে। ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে। উপ নির্বাচনের আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। তার আগে দলের দাপুটে নেত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় বেকায়দায় জোড়াফুল।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। তার আগে দল ছাড়লেন ধুপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়। রবিবার সকালে ধূপগুড়িতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে গেরুয়া দলে যোগ দিলেন মিতালি রায়। তাঁর হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
গতকাল ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে একমঞ্চেই ছিলেন মিতালি রায়ও। তবে রাত পোহাতেই সিদ্ধান্ত বদল। বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের। অভিষেকের সভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপিতে তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী।
আরও পড়ুন- ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, ক্ষুব্ধ অধীর ছেড়েই দিলেন কমিটির সদস্যপদ
মিতালি রায়ের বাবাও এর আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায় ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন মিতালি। একুশের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তবে ২০২৩-এর উপ নির্বাচনে দল আর তাঁকে টিকিট দেয়নি। এতেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে মিতালিদেবীর। একুশের ভোটে হারের পর থেকে দল আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সেই ক্ষোভের আঁচ পেতেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গত ১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অরূপ বিশ্বাস কথা বলেন মিতালি রায়ের সঙ্গে। এমনকী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে প্রচারেও হাঁটতে দেখা যায় মিতালি রায়কে। এরপর গতকাল ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভাতেও দেখা গিয়েছে মিতিলী রায়কে।
আরও পড়ুন- অপূর্ব-অসাধারণ সাগরপাড়ে মন জুড়োবেই! বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সি বিচ এককথায় অনবদ্য!
কিন্তু অভিষেকের সভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভোলবদল। রবিবার সকালে ধূপগুড়িতে বিদেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নিলেন মিতালি রায়, যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিন মিতালি রায়ের বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বিজেপি পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। রাজবংশি সমাজের সমস্যা নিয়ে উনি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষের অবহেলার বিরুদ্ধে উনি লড়াই করেছেন।'