Durga Puja Donation: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল সারা বাংলা। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন রাজ্যবাসী। এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল, মিছিল থেকে ডাক উঠছে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করার জন্য। কলকাতা তো বটেই, রাজ্যেরও বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই অনুরোধ করছেন অনুদান হিসাবে ৮৫ হাজার টাকা না নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে খবর রটছে, বিভিন্ন ক্লাব নাকি অনুদান নিতে অস্বীকার করছে। আদৌ কতটা সত্যি সেই খবর?
যদিও এসব খবর ভুয়ো বলে দাবি করল পুজোওয়ালাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। শহরের দুর্গাপুজো কমিটিগুলি এই ফোরামের ছাতার তলায় রয়েছে। ফোরামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরের বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা ২৭৯৩। এদের মধ্যে একটি পুজো কমিটিও অনুদান নিতে অস্বীকার করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুদান অস্বীকার সংক্রান্ত যেসমস্ত খবর বা পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে সেগুলিও ভুয়ো বলে দাবি তাঁদের।
কী বলছে ফোরাম?
এবিষয়ে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, 'কলকাতায় ২,৭৯৩টি বারোয়ারি পুজোর মধ্যে ফোরামের সদস্য ৬০০-রও বেশি কমিটি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও খবর নেই যে কোনও সদস্য অনুদান অস্বীকার করেছে। কোনও বারোয়ারি এমন করেছে বলে খবর নেই। এ ধরনের পোস্ট বা খবর ভুয়ো, গভীর চক্রান্তের অংশ বলে আমরা মনে করি।'
উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় পুজো টালা বারোয়ারির সম্পাদক অভিষেক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'দুর্গাপুজো শুধুমাত্র একটা পুজো নয়, দেড় লক্ষ কোটি টাকার বিশাল অর্থনীতি জড়িয়ে আছে কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এক কোটিরও বেশি পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের পোস্ট করে, দুর্গাপুজো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে এই বিরাট কর্মযজ্ঞকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে।'
দক্ষিণ কলকাতার এক পুজো কমিটির সদস্য বলেছেন, 'হাউজিং কোনও অনুদান পায় না। তাই দমদমের এক হাউজিংয়ের নাম করে অনুদান অস্বীকারের যে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তা ভিত্তিহীন।'
আরও পড়ুন মনে জোর বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যবাসীকে বিশেষ আর্জি নির্যাতিতার মায়ের
মঙ্গলবার একই কথা বলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'পুজোর অনুদান বয়কট অত্যন্ত আপত্তিকর কথা। পুজো একটা বড় অর্থনীতি। একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার সঙ্গে পুজোর কী সম্পর্ক! যাঁরা পুজো, পুজোর অনুদান বয়কটের কথা বলছেন তাঁরা আসলে মানুষকে বিপথে চালিত করতে চাইছেন। এর পিছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।'