হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এক আত্মীয়-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যুতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল পরিবার। গত শনিবার নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর থেকে সিআইডি তদন্তের দাবিতে সুর চড়া হচ্ছিল। তারপরেই কি সক্রিয় পুলিশ? চারজনের গ্রেফতারিতে উঠছে সেই প্রশ্ন।
জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যুতে তার এক আত্মীয়-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত ধৃতদের নাম ও ঠিকানা জানা যায়নি। ধৃতরা কীভাবে নাবালিকার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত তাও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। নিখোঁজ নাবালিকার মৃত্যু তদন্তে শুরু থেকেই স্থানীয় পুলিশের উপর ভরসা হারিয়েছিল পরিবার। সিআইডি-কে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন কেউ-কেউ। সিআইডি তদন্তের দাবি জোরালো হতেই কী পুলিশি সক্রিয়তা? উঠছে প্রশ্ন।
বিজয়া দশমীর দিন বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়েছিল জাঙ্গিপাড়ার ওই নাবালিকা। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্যরা বহু জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেছেন, তবে কোথাও তার হদিশ মেলেনি। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও প্রথম অবস্থায় পুলিশ তাঁদের কোনও সাহায্য করেনি বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন- ‘চাকরি উৎসবের চেয়ে জরুরি নয়’, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যে বিতর্ক
এরপর ঘটনার তিন দিনের মাথায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি ডোবা থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। শনিবার থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয় জাঙ্গিপাড়া। পুলিশের ভূমিকায় যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন কিশোরীর পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয়রা।
রবিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের তাড়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। যদিও পরে বিজেপি প্রতিনিধি দল পৌঁছোয় জাঙ্গিপাড়ার সেই গ্রামে। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তাঁরা।