রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। মূল অভিযুক্ত লালন শেখের দুই সঙ্গী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার পরই মুম্বই পালায় ওই অভিযুক্তরা। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের গ্রেফতার করা হয় মুম্বই থেকে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং গ্রামবাসীদের জেরা করে এই চারজনের নাম উঠে আসে তদন্তে। তাদের নাম এফআইআরেও রাখা হয়েছিল।
ধৃত চারজনের মধ্যে ২ জন বাপ্পা শেখ এবং সাবু শেখ। এরা দুজনই মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গী। সিবিআইয়ের দাবি, এই চারজনকে গ্রেফতার করা বড় সাফল্য। এদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেন বগটুই কাণ্ডের রহস্যের জট অনেকটাই ছাড়ানো যাবে বলে সিবিআইয়ের দাবি। অন্যদিকে, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে বগটুই কাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই।
এদিকে, ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার সিবিআই করবে কি? ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নেই ভিন্ন মত ধরা পড়েছে সিবিআইয়ের দুই আইনজীবীর কথায়। আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর জানান যে, রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এখন আবার নতুন মামলা কীভাবে নেওয়া সম্ভব? ওয়াই জে দস্তুরের দাবি, এতদিনে ভাদু শেখ খুনের সব তথ্য প্রমাণ প্রায় মুছে গিয়েছে। একেবারে আগেই কেন তদন্তের ভার দেওয়া হল না?
আরও পড়ুন ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে CBI নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
অন্যদিকে সিবিআইয়ের তরফে অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ‘বগটুই গণহত্যার তদন্তে সিবিআই দল রয়েছে। ইতিমধ্যে টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত চলছে। ফলে ভাদু শেখ খুনের তদন্ত হাতে নিতে কোনও আপত্তি নেই।’ পরে অবশ্য সিবিআইয়ের দুই আইনজীবী সহমত হন। আদালতে তাঁরা জানান যে, নির্দেশ দিলে ভাদু শেখ হত্যার তদন্তভার নেবে সিবিআই।