অশান্তি, প্রতিবাদ, আগুন! নেপালের পর ফের বিক্ষোভে পুড়ছে ফ্রান্স, চরমে রাজনৈতিক অস্থিরতা

ফ্রান্সে ফের চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরই জ্বলে উঠল অশান্তির আগুন।

ফ্রান্সে ফের চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরই জ্বলে উঠল অশান্তির আগুন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cats

ফ্রান্সে ফের চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা।

ফ্রান্সে ফের চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরই জ্বলে উঠল অশান্তির আগুন। মাত্র দু বছরের কম সময়ে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হলেন ৩৯ বছরের লেকর্নু। কিন্তু তাঁর শপথের দিনই প্যারিস-সহ বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

Advertisment

বুধবার “Block Everything” আন্দোলনের ডাক দিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আবর্জনার স্তূপ জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন, একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, শুধুমাত্র প্যারিসেই অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে রেলের বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি সামলাতে ফ্রান্সজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৮০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী, যার মধ্যে ৬ হাজার রয়েছেন প্যারিসে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও ফ্লেয়ার ছুড়ে মারছেন।

Advertisment

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সমস্যা কেবল মন্ত্রীর নয়, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নিজেই সমস্যার মূল। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট তাঁর ব্যর্থতা ঢাকতে ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, তিনি। 

এর আগে বিতর্কিত বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেয়রুকে । রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে গত দুই বছরে ফ্রান্সে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে।

পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল আকার নিচ্ছে। রাস্তায় শুধু অবরোধই নয়, আন্দোলনকারীরা জ্বালানি ডিপো, সুপারমার্কেট এবং পেট্রোল স্টেশনকেও টার্গেট করছেন। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ লুটপাটের আহ্বান জানাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। 

france