টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন একের পর এক এলাকা। সেখানেই ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ। খোলা বিদ্যুতের তার কাড়ছে প্রাণ। গত কয়েকদিনে কোথাও বাড়িতেই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আবার জলে ডোবা রাস্তা পেরোতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। খোলা তার শরীরে জড়িয়ে মৃত্যু। গত রবিবার থেকে এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
রবিবার রাত থেকে চলা একটানা বৃষ্টিতে রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টি সাময়িকভাবে কমলেও এখনও জলবন্দি দশা কাটাচ্ছে হাজার-হাজার পরিবার। বৃষ্টি কমলেও জল সরেনি এখনও। বহু এলাকায় পাম্প বসিয়ে জল সরানোর চেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনের। জলমগ্ন এলাকায় বিপদ বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের খোলা তার-খুঁটি। অজান্তেই বিদ্যুৎবাহী খুঁটির সংস্পর্শে এসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দমদমের মতিঝিল এলাকায় জলমগ্ন রাস্তা পেরোচ্ছিল দুই কিশোরী। রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্টে হাত দিতেই বিপত্তি। স্থানীয়দের দাবি, বৃষ্টির জেরে আগে থেকেই ওই ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের সংযোগ এসে গিয়েছিল। দুই কিশোরী ল্যাম্পপোস্টে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বুধবারই খড়দহে বাড়িতে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। তারও আগে খড়দহের পাতুলিয়ায় বাড়িতে জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলের। বাবা-মা ও দাদাকে চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখে খাটে বসে কাঁদতে থাকা ছোট্ট আরও এক শিশু। মর্মান্তিক এমনই কিছু পরিণতির এখানেই শেষ নয়। জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে বৃহস্পতিবারও। মালদহের মোথাবাড়িতে রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের খোলা তারে পা লাগে প্রৌঢ়ের। মোথাবাড়ির সারাফতটোলা এলাকায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। এদিনই মালদহের আরও দুই এলাকায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্য়ু খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন- কড়েয়ায় বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম ৪, তদন্তে পুলিশ-গোয়েন্দা বিভাগ
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরেও বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। জলে ডোবা এলাকায় নৌকোয় চেপে ত্রাণ বিলি করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন। নদীর পাড়ে ঝুলতে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে যান কয়েকজন। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দুই যুবকের। এই নিয়ে গত রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এল।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন