দেবী দুর্গা গান্ধীজির আদলে তৈরি অসুরকে বধ করছেন। বাইপাস কানেক্টরে রুবির মোড় এলাকায়
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে বিতর্ক। যার রেশ পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতেও।
মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদ মাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, 'অসুর হিসাবে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান গান্ধীজিকে দেখানো হয়েছে। এটা নিন্দনীয়। পাগলদের কাজ। এদের গুরুত্বহীন। পুলিশ গ্রেফতার করুক। কিছু দিন জেলেরাখা হলেই ঠিক হয়ে যাবে।'
তৃণমূলের তরফে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, 'সুস্থ রুচির সঙ্গে গোটা বিষয়টি যায় না। পাপ কাজ হয়েছে। শুনেছি ওরা অসুর বদল করেছে। যদি করে থাকে খুবই ভাল, না হলে কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়বে।' এই ঘটনায় বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, 'হিন্দু মহাসভা বিজেপিরই অন্তরাত্মা। গান্ধী হত্যাকারী গডসের পূজারি। এই ঘটনায় ওদের গ্রেফতারের দাবি আসলে বিজেপির মুখোশ। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।'
অসুর বিতর্কের পরপরই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সপ্তমীর দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ কসবা থানার পুলিশ গিয়ে রীতিমত জোর করেই অসুরের মূর্তির আদল বদল করে দিয়েছে। অসুরের মূর্তিতে চুল লাগিয়ে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তারা শুরুতে প্রতিবাদ করলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বদল না করলে পুজো বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। তাঁর কথায়, “ওদের উপর নাকি কেন্দ্র থেকে প্রচুর চাপ দেওয়া হচ্ছে। লালবাজারেও নাকি চাপ দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ফোন এসেছিল। বলা হয় মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কোনও বিতর্ক করা যাবে না। আর না শুনলে আমাদের গ্রেফতারকরা হবে।'