Ganga Aarti: অভূতপূর্ব! বাংলার গঙ্গাবক্ষে শিব বন্দনার এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনে আপ্লুত ভক্তকূল
Ganga Aarti: শ্রাবণ মাস দেবাদীদেবের জন্মতিথি হিসেবে কথিত। গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে লক্ষ লক্ষ ভক্ত বাঁকে করে গঙ্গা জল নিয়ে শিবের মন্দিরে হেঁটে হেঁটে জল ঢালতে যান। তাই এই শ্রাবণ মাসে হয় শ্রাবণী মেলা। বহু দিন ধরে এই শ্রাবণী মেলা হলেও গঙ্গারতি এই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছানুযায়ী শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গারতির আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন।
Ganga Aarti: গঙ্গাবক্ষে শিব বন্দনা। ভাসমান লঞ্চে মহাদেবের ছবি রেখে সন্ধ্যারতিতে মগ্ন সুদূর উত্তর প্রদেশ থেকে আসা চার পুরোহিত। চন্দননগরের রানিঘাটে শনিবার সন্ধ্যায় এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে বেশ জনসমাগম হয়। এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল হুগলি জেলা প্রশাসন। জেলার তিন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রনীল সেন-সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি উপস্থিত ছিলেন বিশেষ এই আয়োজনে।
Advertisment
হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য জানান, চন্দননগরের রানিঘাটে গঙ্গারতি হয়েছে। রবিবার সেই লঞ্চটি যাবে শ্রীরামপুর রায়ঘাটে। সেখানেও আরতি হবে। উল্লেখ্য, শ্রাবণ মাস দেবাদীদেবের জন্মতিথি হিসেবে কথিত। হুগলির তারকেশ্বর মন্দিরে গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে লক্ষ লক্ষ ভক্ত বাঁকে করে গঙ্গা জল নিয়ে বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে হেঁটে হেঁটে জল ঢালতে যান।
তাই এই শ্রাবণ মাসে হয় শ্রাবণী মেলা। বহু দিন ধরে এই শ্রাবণী মেলা হলেও গঙ্গারতি এই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছানুযায়ী শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গারতির আয়োজন করেছিল হুগলি জেলা প্রশাসন।
একইসঙ্গে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা সংগ্রহশালারও উদ্বোধন হয়। চন্দননগর রানিঘাটে আধ ঘন্টা গঙ্গারতি করার পর লঞ্চ চলে যায় বৈদ্যবাটিতে। সেখানে নিমাই তীর্থ ঘাটের কাছেই গঙ্গারতি অনুষ্ঠান হয়। এছাড়াও সুদৃশ্য বাঁকের ওপর 'বাঁকবাহাদুর' নামে একটি পুরস্কার চালু করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলাশাসক জানান, বাঁক বহনকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই পুরস্কার চালু করা হয়েছে।