গঙ্গা আরতি নিয়ে দিন কয়েক আগেই শাসক বিরোধী টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছিল। কেন প্রশাসন গঙ্গা আরতিতে বাধা দিচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তৃণমূল ধর্মাচারণে বাধা দিচ্ছে বলে তোপ দেগেছিল পদ্ম বাহিনী। এর একদিন পরই গত বুধবার বাবুঘাটে বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতির কথা ঘোষণা করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এসেবর মধ্যেই বিজেপিকে আক্রমণে গঙ্গা আরতি নিয়ে তোলা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তোলা প্রশ্নকেই হাতিয়ার করল তৃণমূল। হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাতেরও
অভিযোগ আনা হয়েছে গেরুয়া দলটির বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলার থেকে শুক্রবার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ গঙ্গা আরতি করছেন। সাংসদের করা আরতির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। এছাড়া প্রশানের বিরুদ্ধে আরতিতে প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের তোলা অভিযোগও খণ্ডন করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদের ভুল পদ্ধতিতে আরতি আসলে সেই দলের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান বলে তোপ দাগা হয়েছে।
তৃণমূলের টুইটারে লেখা, 'যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন যে 'গঙ্গা আরতির' অনুমতি দেওয়া হয়নি, তখন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান সেই আরতিই করছেন কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে। প্রথমত, বিজেপি নিজেদের দাবিরই বিরোধিতা করল। দ্বিতীয়ত, বিজেপি আর কতবার মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অসম্মান করবে?'
ওই পোস্টেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের একটা বার্তাও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বামী বিবেকাননন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর তুলনা নিয়ে সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, 'রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের যত মত তত পথের প্রধান প্রচারক ছিলেন স্বামীজি। অর্থাৎ বহু ধর্মের মিলনের কথা বলা হয়েছে। এখন তাঁকেই এক ধর্মের প্রবকক্তা নরেন্দ্র মোদী হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছে বলা হচ্ছে। এটা ভারতবর্ষের মানুষ কী চোখে দেখবে তা তাঁরাই বলবেন।'
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পুলিশ জি২০ সম্মেলন ও গঙ্গাসাগরের কথা বলে বাবুঘাটে বিজেপিকে গঙ্গা আরতির অনুমতি দেয়নি। কিন্তু জোর করে তা করতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেছিলেন, 'হিন্দুদের যে কোনও কর্মসূচি হলেই বাধা দেওয়া হবে। আগামী দুর্গাপুজোয় কী হয় দেখুন না। সরস্বতী পুজোয় কী হয় দেখুন।'