মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গঙ্গাসাগরের জল এসে পৌঁছল তারাপীঠ মন্দিরে। গঙ্গা জলে তারা মায়ের পা ধোয়ালেন সেবায়েতরা। তারাপীঠের মূল মন্দির ছাড়া অন্য মন্দিরগুলিতে ছড়ানো হয় এই গঙ্গা জল। বেশ কিছু পুন্যার্থীও গঙ্গাসাগরের জল মাথায় ছোঁয়ানোর সুযোগ পেয়েছেন।
করোনা অতিমারির জেরে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই গঙ্গাসাগর যাত্রা এড়ানোর কথা বলেছিলেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ধর্মীয় স্থানগুলিতে গঙ্গাসাগরের জল পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনের তরফে গঙ্গাসাগরের জল পৌঁছে দেওয়া হয় তারাপীঠ মন্দিরে।
আরও পড়ুন- ‘৪০ নয়, ১০০ কিমি গতিতে চলছিল ট্রেন’, জানালেন বিকানের এক্সপ্রেসের চালক
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ধর্মীয় স্থানগুলিতে পবিত্র এই জল পাঠাবেন, এটা আমরা আগেই জানতাম। আমরা সেই মতো প্রস্তুতও ছিলাম। গঙ্গাসাগরের চার নম্বর ঘাট থেকে জল ভরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। দুপুরে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের অফিস থেকে সেই গঙ্গা জল পৌঁছে দেওয়া হয়।''
আরও পড়ুন- পুকুর খুঁড়ে মিলল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি, সংক্রান্তিতে পুজো-অর্চনায় মাতলেন স্থানীয়রা
জানা গিয়েছে, এদিন গঙ্গাসাগরের জল তারাপীঠের মন্দিরে পৌঁছয় দুপুর নাগাদ। সেই জল দিয়ে তারা মায়ের পা ধুয়ে দেওয়া হয়। এরপর মন্দির চত্বরের অন্য জায়গাগুলিতে পবিত্র ওই জল ছড়ানো হয়। বেশ কিছু পুন্যার্থীর মাথায় গঙ্গা জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে তাঁরা ভীষণ খুশি বলে জানিয়েছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
তারাপীঠে এসে গঙ্গাসাগরের জল মাথায় ছোঁয়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে এক পুন্যার্থীর। কলকাতা থেকে তারাপীঠে আসা অভীক রায় নামে এক পুন্যার্থী বলেন, ''এবার গঙ্গাসাগর গিয়ে স্নানের ইচ্ছে ছিল। করোনা অতিমারির জেরে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। তাই তারাপীঠ চলে এসেছি। এখানে এসেও যে গঙ্গাসাগরের জল পাব তা ভাবতেও পারিনি। তারাপীঠ মন্দিরে গঙ্গাসাগরের জল পেয়ে আমরা ধন্য।''