গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ করার পরে অপহরণ করা হয়েছে খোদ নিগৃহীতাকেই, এমন অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলার স্বামী। এ ঘটনা সোনারপুর ঘাসিয়াড়া এলাকার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিচারিকার কাজ দেওয়ার নাম করে এই মহিলাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় নরেন্দ্রপুরের একটি বাড়িতে। সেখানে যাওয়ার পরে, কাজ দেখানোর নাম করে একটি ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। এই কাণ্ড ঘটনাোর অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের গড়ির চালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সে সময়ে বাড়ির মালিকসহ অন্যান্যরা ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন, নির্ভয়া কাণ্ডের কালো ছায়া গ্রামবাংলায়, বীভৎস ধর্ষণ ধূপগুড়িতে
নির্যাতিতা মহিলা মোবাইল ফোনের রেকর্ডিং প্রমাণ হিসেবে পুলিশকে শুনিয়েছিলেন। আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার জন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে সুশান্ত হালদার ও রবীন সর্দার নামে দুজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
এরপর গত শনিবার বাড়ি ফিরে নির্যাতিতা মহিলাকে দেখতে পাননি তাঁর স্বামী। আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ চালিয়েও হদিশ মেলেনি ওই মহিলার। এরপরই পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের উত্তরে, ধূপগুড়িতে কয়েকদিন আগে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সম্পত্তিজনিত বিবাদে এক বধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।