এবার কুণাল ঘোষই ৩৫৬ ধারা জারির দাবিতে সুর চড়ালেন। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন উত্তর প্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই। পুলিশি হেফাজতে জোড়া খুন নিয়ে ভয়ঙ্কর সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ভগ্নদশার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার। উত্তর প্রদেশের এই ঘটনা প্রসঙ্গেই এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও সেরাজ্যে ৩৫৬ জারির মতো পরিস্থিতি হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যাওয়ার পথেই গ্যাংস্টার আতিককে গুলি করে মারে দুষ্কৃতীরা। তার ভাই আশরফ আহমেদও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের ছেলে আসাদও এনকাউন্টারে নিহত হয়। আসাদের পাশাপাশি এনকাউন্টারে সহ-অভিযুক্ত গোলামও নিহত হয়। তাদের দু’জনেরই মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- আরও ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি? হাওয়া অফিসের লেটেস্ট আপডেট জানলে মাথায় হাত!
এদিকে, খাস পুলিশি ঘেরাটোপে থেকেও এভাবে আতিকের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব সব মহল। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রয়াগরাজ জেলায়, যেখানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পুকুরের জল ছেঁচে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল ফোন উদ্ধার CBI-এর
উত্তর প্রদেশের এই ঘটনা নিয়েই এবার বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাংলায় একাধিক ঘটনা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ৩৫৬ ধারা জারির সওয়াল তোলেন বিজেপি নেতারা। এবার গেরুয়া দলকে পাল্টা বিঁধে কুণাল টুইটে লিখেছেন, 'পুলিশি হেফাজতের মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ড। গোটা রাজ্যের সব জেলায় 144 ধারা। উত্তরপ্রদেশে 356 ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে???''