Garden Reach Building Collapse: ফের সামনে ভয়ঙ্কর বিতর্ক, গার্ডেনরিচের এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই চড়েন ৫ কোটির গাড়িতে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
KMC: এদিন গার্ডেনরিচের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে জানানা, ওই বহুতল বেআইনি। পুলিশসূত্রে খবর, গার্ডেনরিচকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ ওয়াসিম নামে এক প্রোমোটারকে। গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ধৃত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে। ধৃত প্রমোটারের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
KMC: এদিন গার্ডেনরিচের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে জানানা, ওই বহুতল বেআইনি। পুলিশসূত্রে খবর, গার্ডেনরিচকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ ওয়াসিম নামে এক প্রোমোটারকে। গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ধৃত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে। ধৃত প্রমোটারের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Shams Iqbal: মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কাউন্সিলর শামস একবাল।
Garden Reach Councillor Shams Iqbal: কয়েক বছর আগেই কলকাতা পুরনিগমে হইহই পড়েছিল। ১০ হাজার টাকার বেতনভোগী কাউন্সিলের ৫ কোটি টাকার লাল অ্যাস্টন দেখে পুরনিগমের প্রধান কার্যলয়ের মধ্যে চর্চা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে ওই বেতনে কি এত মূল্যের স্পোর্টস-কার কেনা সম্ভব? এরপর একুশের পুরভোটে একই ওয়ার্ড থেকে জয় পান শামস একবাল। রবিবার গভীর রাতে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘনিষ্ঠ ১৩৪ নং ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলরের বহুমূল্যের গাড়ি আবারও চর্চার কেন্দ্রে।
Advertisment
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার পর কাউন্সিলর শামস একবালের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে মেয়র ফিরহাদ গাকিমের ভূমিকা নিয়ে প্রস্ন তুলেছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, 'গার্ডেনরিচ হল মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দুর্গ। সেখানে এই ধরণের অন্তত ৮০০ বহুতল তৈরি হয়েছে। মেয়রের নিজের এলাকায় এরকম বেআইনি ভাবে বহুতলের নির্মাণ হচ্ছে, আর তিনি জানতেন না? এও হতে পারে?' বিরোধী দলনেতার পোস্টে, মেয়রের সঙ্গে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাম ইকবালের ছবিও রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রোমোটার, এলাকার পুলিশের যোগসাজস রয়েছে। নইলে এ ধরণের বেআইনি নির্মাণ হতে পারে না। শাম ইকবাল ও প্রোমোটারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'কাউন্সিলর শামস ইকবাল সম্প্রতি একটি বেন্টলে গাড়িও কিনেছেন। একজন কাউন্সিলর ৫ কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা?'
Advertisment
TMC-made Disaster ----------------------
When a 5-storey building collapses like a Pack Of Cards in the Garden Reach Area, some pertinent questions need to be answered.
First of all, the focus should remain on rescuing people who might still be trapped under the debris. If the… pic.twitter.com/YLAhWNUhZY
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) March 18, 2024
একুশ সালের কলকাতা পুরসভার ভোটে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিপুল ব্যবধানে জিতেছিলেন শামস ইকবাল। দিল্লি থেকে শুভেন্দুর অভিযোগ, শাম ৯৮.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন এই কাউন্সিলর। কলকাতা পুরভোটে যাঁরা জিতেছিলেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন এই শামস-ই। এই কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের অবিসংবাদিত রাজা। যে মানুষগুলো ধ্বংসস্তুপের নীচে মরণবাঁচন লড়াই করছেন, তাঁদের জীবনের মূল্যেই এহেন জীবনযাত্রা শামস ইকবালের।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কাউন্সিলর শামস একবালের বহুমূল্যের গাড়ি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে খোঁচা দিয়েছেন। শামসের সঙ্গে একটি গাড়ির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক অবৈধ নির্মাণের জন্য কে দায়ী? গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে একটি বাড়ি ধসে পড়েছে, সেখানকার কাউন্সিলর শামস ইকবাল (অনিল), ফিরহাদ হাকিমের হয়ে কলকাতা বন্দর এলাকায় অবৈধ নির্মাণের দেখভাল করেন, ৫ কোটির গাড়ি ডেলিভারি নিচ্ছেন।'
Who is responsible for the rampant illegal construction in WB?With a collapsed building in Ward No 134,Garden Reach,this is Shams Iqbal (Anil),Councillor of the ward,who manages illegal construction in the Kolkata Port area for Firhad Hakim,taking delivery of ₹5Cr Car.#Shamefulpic.twitter.com/YGgca6IVx5
— Dr. Sukanta Majumdar ( মোদীজির পরিবার ) (@DrSukantaBJP) March 18, 2024
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'যে সব বিরোধী নেতা এত প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের বলব রাজনীতি পরে করুন। এই মুহূর্তে আটকে পড়াদের কী ভাবে উদ্ধার করা হবে, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই ঘটনাটা নিয়ে এখন রাজনীতি করা ঠিক হবে না। এ রকম যাতে আর না ঘটে, সেটাই দেখতে হবে আমাদের। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই তা নিশ্চিত করতে হবে।'