গড়িয়াহাট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হল। গড়িয়াহাট থানায় এ ব্যাপারে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে দমকল। আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না বলেই দমকলের দাবি। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পেরেছিল, এবং আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা যায়নি। তবে দমকলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। তবে অভিযোগে যে সমস্ত বিপণি ওই অগ্নিদগ্ধ বাড়িটিতে ছিল এবং যাঁরা আবাসিক তাঁদের সকলের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দমকল কেন নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দমকলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগুন নেভানোর জন্য ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছে তারা। ওই বাড়ির চারটে গেটের সামনের দুটি গেটে অস্থায়ী শিবির থাকায় এবং প্লাস্টিক থাকায় বাধা পেয়েছে দমকল। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে প্রচুর হোর্ডিং ও ব্যানার থাকায় তা কেটে রাস্তা করতে হওয়ায় তাতেও বেশ কিছুটা সময় লেগেছে বলে দমকলের দাবি। অভিযোগ করা হয়েছে, প্যাসেজে প্রচুর মালপত্র মজুত থাকায় দমকলের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে।
আরও পড়ুন, আটকে ১৭টি পণ্যবাহী জাহাজ, বিপাকে হলদিয়া বন্দর
এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ অগ্নি নির্বাপণ আইনের ১১জে, ১১ এল এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে।
পুর নির্দেশ মেনে ফুটপাথের স্টল থেকে প্লাস্টিক খুলে নেওয়ার কাজ শুরু (ছবি- শশী ঘোষ)
এদিকে হকারদের দোকান থেকে প্লাস্টিক খুলে নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ববি হাকিম জানিয়েছেন, ফুটপাথের দোকানগুলিতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। এ নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার তরফে শ্যামবাজার-হাতিবাগান এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচারও চালানো হয়েছে। এ ব্য়পারে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্লাস্টিক না খুলে নিলে পুরসভা নিজেই ওই প্লাস্টিক খুলে দেবে।
জানা গিয়েছে, আপাতত শুধু প্লাস্টিকের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও, ভবিষ্যতে প্লাস্টিক জাতীয় অন্য দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হোর্ডিংয়ের ব্যাপারেও কী করা যাবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে পুর-মহলে।
শনিবার রাতে গড়িয়াহাটের ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলি বিপণি সংলগ্ন ফুটপাথে আগুন লাগে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন আয়ত্তে এসেছিল।