বাংলার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রায় ১০০% পড়ুয়াই ডাহা ফেল! মাথায় বাজ পড়ার জোগাড়
University Education: সমস্ত বিষয়ে রিভিউ'র সুযোগ এবং প্রকাশিত ফল নতুন করে পর্যালোচনার দাবি করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এদিন তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনে সামিল হন অকৃতকার্য পড়ুয়ারা।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সেমিস্টারের ফলাফলে ৯৭ শতাংশ ফেল ৩ শতাংশ পাশ । এরপরই রেজাল্ট প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে সোমবার বিক্ষোভ দেখালো গৌড়বঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, পুরনো সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানো হক। তা না হলে কি ভাবে তাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে।
Advertisment
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ২৫ টিরও বেশি কলেজের ৪৮ হাজার ছাত্রছাত্রী প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় বসেছিল। এরমধ্যে সমস্ত বিষয়ে উত্তীর্ণ হয় ১২০০-র কিছু বেশি ছাত্রছাত্রী। সমস্ত বিষয়ে রিভিউ'র সুযোগ এবং প্রকাশিত ফল নতুন করে পর্যালোচনার দাবি করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এদিন তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনে সামিল হন অকৃতকার্য পড়ুয়ারা।
তাদের অভিযোগ, কলেজস্তরে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না। যারজন্য এবারের ৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। মাত্র ৩ শতাংশ পড়ুয়া নিজেদের মূল বিষয়ে পাশ করেছেন। তবে মূল বিষয়ে তারা ফেল করলেও বাকি দুটি প্রধান বিষয়ে যে কোন একটিতে উত্তীর্ণ হওয়ায় তারা দ্বিতীয় সেমিস্টারে চলে গিয়েছে।তাই প্রকাশিত এই ফলাফল প্রত্যাহারের দাবি সহ একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে মিছিল করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হল একটি ডেপুটেশন।
এক ছাত্রী খালিদা খাতুন বলেন, প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় মাত্র তিন শতাংশ পাশ করেছে। ফলে আমাদের মেজর বিষয়ে তিনটি পার্ট রয়েছে। পাশাপাশি এমডিসি যে বিষয় রয়েছে তার কোন অধ্যাপক নেই। যে অধ্যাপক রয়েছে তাঁরা বলছে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অধ্যাপকেরা যদি না জানে তাহলে আমরা কি ভাবে জানবো। এমডিসির কোন বই বেড় হয় নি । তহলে কি ভাবে পড়বো। যদি বই না পাওয়া যায় থাহলে ভবিষ্যতে কি ভাবে এগিয়ে যাবো। আগে যে সিলেবাস ছিল সেম করা হোক।
মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, ৯৭শতাংশ যে ফেল করানো হয়েছে, তার রেজাল্ট প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে এদিন ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের কারনে দুই মাস কলেজে পড়াশোনা বন্ধ ছিলো। সেই বিষয়টিও বলা হয়েছে। কলেজগুলিতে ক্লাস সেই ভাবে নিচ্ছেন না অধ্যাপকেরা। অনেক অধ্যাপক আসেন না। ফলে সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্ররা। এতে ছাত্র অধ্যাপক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বিশ্বরূপ সরকার বলেন, রিভিউ কমিটি গঠন করা হরেছে।এতদি তিনটি পেপারে রি-অ্যাসেসমেন্ট করা যেত। এখন সেটা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা চলছে।