Girl Missing: মেয়ের বিয়ের (Wedding) যাবতীয় আয়োজন সেরে ফেলেছিলেন বাবা-মা। তবে সেই মেয়েই বোধ হয় দিলেন দিলেন 'ধোঁকা'। রূপশ্রী (Rupashree) প্রকল্পের আবেদনপত্র বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। বিডিও অফিসে আবেদনপত্রটি জমা দিতে যাওয়ার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের সাহেবগঞ্জ এলাকায়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভাতার থানার পুলিশ তরুণীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, সম্ভবত প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে পারেন ওই তরুণী। তাঁর বাড়ির লোকেরও কারও কারও এমনই ধারণা। তবে এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মেয়েটির নাগাল মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়া বছর বাইশের ওই তরুণীর বাড়ি ভাতারের সাহেবগঞ্জ এলাকায়। তরুণী গ্র্যাজুয়েট। তাঁর মামাবাড়ি ভাতারেরই বনপাশ এলাকায়। তরুণীর বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তাঁর বাবা-মাই ঠিক করে ফেলেন। বিয়ের আর মাত্র দিন দ'শেক বাকি ছিল । তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের আত্মীদের নিমন্ত্রণের জন্য কার্ডও ছাপিয়ে ফেলেন পরিবারের লোকজন। নিমন্ত্রণপর্বও প্রায় সাড়া হয়ে গিয়েছিল। এমনকী বিয়ের বাজার সেরে ফেলার পাশাপাশি মণ্ডপ ও বাজনা বায়নার টাকাও মিটিয়ে দিয়ে রেখেছে পরিবার ।
এরই মধ্যে তরুণী তাঁর বাড়ির লোকজনকে বলেন, "মেয়েদের বিয়ের খরচের জন্য রাজ্য সরকার 'রূপশ্রী' প্রকল্প চালু করেছে। সেই প্রকল্পে আবেদন করলে ২৫ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যায়।" তাই রূপশ্রী প্রকল্পের অনুদান পাওয়ার জন্য নিয়ম মেনে নিজে সশরীরে ভাতার ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়ে আবেদন করবে বলে তরুণী বায়না ধরেন। সরল বিশ্বাসে তরুণীর বাবা-মা তাতে সম্মতিও দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে লিখিত আবেদনপত্র, বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের প্রতিলিপি সঙ্গে নিয়ে তরুণী তাঁর মামার সঙ্গে ভাতার বিডিও অফিসে যান।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: বিদায়বেলায় চার-ছক্কা শীতের, কলকাতায় আরও নামল পারদ, এই পরিস্থিতি আর ক’দিন?
সেখান থেকেই শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে মামাকে বসিয়ে রেখে তরুণী চম্পট দেয়। এদিকে অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভাগ্নি ফিরছে না দেখে মামাও যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি গোটা বিডিও অফিস তন্নতন্ন করে ঘুরেও ভাগ্নির খোঁজ পাননি। এরপরেই দিদি- জামাইবাবুকে খবর পাঠান তিনি। তাঁরাও গোটা বিডিও অফিস ঘুরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে শেষে ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন- same sex marriage: স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স সেরেই বিয়ে! বন্ধু যুবকের সাথেই ঘর বাঁধলেন এই যুবক
নিখোঁজ মেয়েটির মামা বলেন, “ভাগ্নির কথা মতোই রূপশ্রী প্রকল্পের অনুদানের জন্যে আবেদন করতে আমি ওকে সঙ্গে নিয়ে বিডিও অফিসে যাই। আবেদনপত্র পূরণের কাজ চলছিল। ওই সময়ে শৌচালয়ে যাওয়ার কথা বলে ভাগ্নি নিজের ভ্যানিটি ব্যাগটা আমাকে ধরতে দিয়ে যায় । এরপর থেকে ভাগ্নি আর ফেরেনি। সে কোথায় গায়েব হয়ে যায়।"
আরও পড়ুন- Mahishadal Rajbari: পর্যটকদের জন্য বাম্পার অফার! নামমাত্র খরচে ঐতিহ্য়মণ্ডিত মহিষাদল রাজবাড়িতে থাকা-খাওয়ার সুযোগ!
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে বিডিও অফিসে তন্নতন্ন করে খোঁজ চালায় মেয়েটির। বিডিও অফিসের সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ খতিয়ে দেখে। সেখানেও তরুণীর হদিশ মেলেনি। তবে কোথায় গেলেন তরুণী? মেয়েটি কি আগে থেকেই তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেই বিডিও অফিসে এসেছিল? এ নিয়ে রাত অবধি পরিবারের লোকজন পুলিশকে লিখিতভাবে কিছু না জানালেও পুলিশ কিন্তু তেমনই সন্দেহ করছে।