দেশ ও রাজ্যের মঙ্গল কামনায় বিশ্বশান্তি যজ্ঞ ও দুই হাজার কন্ঠে গীতা পাঠ শুরু হল মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। রবিবার মাহেশের ঐতিহ্য মণ্ডিত শতাব্দী প্রাচীন ওই মন্দিরে বসেছে গীতা পাঠের আসর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত ও গীতাপ্রেমীরা ওই পাঠে অংশ নেন।
Advertisment
সকালে হোম যঞ্জের পর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে গীতা পাঠ। সেখানে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, যজ্ঞে বসেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাহেশকে পর্যটন সার্কিটের আওতায় আনার পরেই জগন্নাথ মন্দির ও রথের খ্যাতি আরও ছড়িয়েছে। তাই দেশ ও রাজ্যের কল্যাণে এই আয়োজন। জগন্নাথ জিউ ট্রাষ্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, গীতার ১৮টি অধ্যয়ের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ ও অষ্টাদশ অধ্যয় পাঠ হবে। সমস্ত ভক্ত ও নাগরিকেরা আগে থেকেই মন্দিরে আসতে শুরু করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য এবং দেশের মঙ্গলকামনায় এই গীতাপাঠ এবং যজ্ঞ অনুষ্ঠান। আমরা হিন্দু ধর্মের মানুষ গীতাকে পরম শ্রদ্ধা করি। পরম পূজনীয় এই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে মানুষের কল্যাণের কামনা করেছি।"
পাল্টা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেছেন, "যতই ওঁরা গীতাপাঠ করুন বা পুজো-যজ্ঞ করুন, যেভাবে ওঁরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন, মুসলিম তোষন করেছেন তাতে হিন্দুদের ভালবাসা ওঁরা পাবেন না। চেষ্টা করে দেখুক।"