Weekend getaways: বেড়ানোর দুরন্ত অভিজ্ঞতা হবেই হবে! অপূর্ব এই সমুদ্রপাড় কলকাতার নাকের ডগায়!
Travel: কলকাতা শহর থেকে এই বঙ্গোপসাগরের পাড়ের এই সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব খুব বেশি নয়। চাইলে দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতেই পারেন অসাধারণ এই এলাকা থেকে। এখানে কাটানো দিন কয়েকের ভরপুর অবসর মনকে অনিন্দ্যসুন্দর এক স্বস্তি এনে দেবে। নিরিবিলি এই এলাকা ছোট ট্রিপের জন্য একেবারে আদর্শ স্থান। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে দিন কয়েক কাটালে মন একেবারে সতেজ হয়ে যাবে। ফুল চার্জড হয়ে ফিরে গিয়ে যোগ দিতে পারেন নিজের নিজের কাজে। দিন যত এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগরের পাড়ের এই সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে।
Travel: কলকাতা থেকে ঝটিকা সফরে বেরিয়ে আসতে পারেন নজরকাড়া এই সমুদ্র সৈকতগুলি থেকে।
Travel: দিঘা, মন্দারমণি তো অনেক হল, এবার কয়েক দিনের জন্য বেড়ানোর সেরা ঠিকানা হতে পারে গোবর্ধনপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সমুদ্র ঘেরা দ্বীপটির চারিদিকে ঝাউবনের সারি। পাথরপ্রতিমার জি প্লটের এই বেলাভূমি মন কাড়বেই কাড়বে। কোলাহলহীন এই সাগর পাড়ে একবার গেলে ফিরতে আর মনই চাইবে না। সুন্দরবনের নজরকাড়া সৌন্দর্য্যের সঙ্গে ভরপুর পাওনা সমুদ্র সৈকত। নির্জন এই সমুদ্রতট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে।
Advertisment
প্রতিদিনের জীবনের তুমুল ব্যস্ততা থেকে কয়েকদিনের অবসর নিয়ে বেড়িয়ে আসুন কলকাতার কাছে গোবর্ধনপুর থেকে। পছন্দের মানুষদের নিয়ে ছোট্ট এই ট্রিপ ভরপুর আনন্দ দেবে। বঙ্গোপসাগরের এই পথে চোখ কাড়বে সুন্দরবনের সুন্দরী, গরান, গেওঁয়ার অপরূপ সৌন্দর্য। নৈ:স্বর্গিক এক আনন্দের স্বাদ নিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই দ্বীপ কিন্তু ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছেঁ যেতে হবে। তারপর ট্রেন ধরে সোজা কাকদ্বীপ, সেখান থেকে বাসে বা অন্য গাড়িতে চলে যান পাথরপ্রতিমায়। পাথরপ্রতিমা থেকে নদীপথে জি প্লটের চাঁদমারি ঘাটে পৌঁছে যেতে হবে। এই চাঁদমারি ঘাট থেকে সোজা গেলেই গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকত। গোবর্ধনপুরের সমুদ্রতটটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা এবং চওড়ায় প্রায় ১০ কিলোমিটার। গোবর্ধনপুর আসার পথে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে চোখ রাখতে ভুলবেন না। বেশ কয়েকটি ছোট-ছোট নদীর পাড় ঘেঁষা সেই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বেশ কিছু জীব-জন্তুরও।
সমস্যাটা এখানেই। এখনও পর্যন্ত এতল্লাটে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার পাকাপাকি কোনও সুবন্দোবস্ত নেই বললেই চলে। তবে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরই বাড়িতে মিলতে পারে থাকা-খাওয়ার সুযোগ। এক্ষেত্রে থাকা-খাওয়া বাবদ টাকা-পয়সার হিসেবটা আগে থেকে বুঝে নিতে হবে। তবে গোবর্ধনপুরে যদি থাকতে না চান, তবে ফিরে এসে পাথরপ্রতিমায় থাকার ভালো বন্দোবস্ত রয়েছে। বেশ কয়েকটি হোটেলে থাকার সুবন্দোবস্ত আছে পাথরপ্রতিমায়।
দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালির বদলে এবার দিন কয়েক হাতে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কোলাহলহীন গোবর্ধনপুরে। বঙ্গোপসাগরের এই বেলাভূমি মনে রাখার মতো একটি ট্রিপ হতে পারে।